হুমায়ূন আহামেদ এর বই পরেন আতছ হিমু চরিত্র টি চিনেন না এমন লোক হয়তো খুজে পাওয়া কষ্ট কর। আমি বই টই তেমন একটা পড়ি না। যে কয়টা হাতে গুনা বই পরছি তাদের মধ্যে হিমু চরিত্র টি আমার খুভ প্রিয় ।
আসল কথায় আসা জাক ।
যখন থেকে হিমু চরিত্র টির সাথে পরিচয় তখন থেকে ই মনের এক কোনে আশা ইসস আমি যদি হিমু হতে পারতাম ।। তার মত হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে পারতাম । মনের হাজার টা পূরণ না হওয়া ইচ্ছার মত আমার এই ইচ্ছা টা ও পরে ছিল মনের কোনে কিন্তু হতাট এক দিন বলা যাবে না এমন মধ্যম হতে হলুদ একটা পাঞ্জাবী পাওয়ায় মনের সেই ইচ্ছা তা আবার নাড়া দিয়ে উঠলো । যেমন ভাবা তেমন কাজ।
মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি,হলুদ পাঞ্জাবী টা গাঁয়ে দিয়ে খালি পায়ে বাসা থেকে বেড় হলাম । মনে বেশ আনন্দ আমি হিমু হইয়া গেছি কিন্তু কিছু পথ হাঁটার পর বুজতে পারলাম ঢাকার রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটা আর গাধা দিয়ে হাল চাষ কড়া এক কথা ।এই খানে ময়লা তো ঐ খানে ড্রেইন এর পানি,আর আবুল ভাই এর বরকত এ রাস্তার কথা না হয় বাদ ই দিলাম কাঁদা পানি তে পা মাখা মাখি
প্রথম এ ই বাঁধা ঐ মিয়া কই জান?? কেন ভাই ভিতরে,না ভিতরে যাওন জাইবো না আপনের গায়ে ময়লা । বল্লাম ভাই পায়ে জুতা নাই তাই পায়ে একটু ময়লা লাগছে আর কি বাকি সব তো ঠিক ই আছে । আপনের কাছে টাকা আছে ??? মানে ? পায়ে জুতা নাই ময়লা পকেট এ টাকা আছে কী না কেডা জানে । কী আর করুম খিদা যখন লাগছে মানি ব্যাগ টা বের করে টাকা দেখাইলাম এর পর আমারে ভিতরে ঢুকতে দিল বদ দারওয়ান বেটা ।
আমার পড়া গল্পের হিমুর পকেট এ বেশি টাকা থাকতো না কিন্তু আমার পকেট এ মুটা মুটি ভাল ই টাকা ছিল তাই উদরপূর্তি টা ভাল ই করলাম। বেড় হওয়ার সময় ভাব লইয়া দারওয়ান বেটা রে ২০ টাকা দিয়া কইলাম লও তোমার বকশিস । বেটা তো পুরা টাস্কি।
এর পর একটা পান মুখে দিয়ে আয়েশ করে হাঁটা শুরু করলাম এই দিকে আমার পায়ের অবস্তা ১২ টা বেজে এখন ১৩ টা । হাঁটতে হাঁটতে সদরঘাঁট চলে আসলাম। কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিলাম একটু আর মনে মনে ভাবতে ছিলাম গল্পের হিমু কেমনে সারা দিন হাঁটতো হের ২ টা কী পা ছিল না অন্য কিছু ??
রাত প্রায় ২..৩০ এখন ভাবলাম এ বার বাসায় যাওয়া যায় বহুত হিমু গিরি করলাম ।বাসার দিকে হাঁটা দিলাম কিছু দূর আসার পর দেখলাম আমার একটু সামনে ৩ জন টহল পুলিশ আমারে ডাক দিল।
এই ছেলে এই দিকে আসো,আমি বল্লাম জী । কই যাও ?? আমি বল্লাম বাসায়। বাসা কই ?? বল্লাম কমলাপুর। এতো রাত এ এই খানে কী ?? না কিছু না এমনি আসছিলাম এখন বাসায় যাচ্ছি । এমনি কী এতো রাত এ এমনি কেও বের হয় ?? মতলব কী ?? আমি বল্লাম মতলব কিছু না। আমি ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট এই খানে এমনি আসছিলাম । ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ?? আইডি কার্ড আছে ?? আমি আমার আইডি কার্ড দিলাম।
কিছু ক্ষণ আইডি কার্ড দেখে তার পর বল্ল বুজলাম স্টুডেন্ট কিন্তু এতো রাতে এই খানে মতলব তো কিছু একটা আছে ।। তোমার জুতা কই ?? আমি বল্লাম জুতা বাসায় । বাসায় মানে ??মানে জুতা বাসায় আছে আমি পড়ি নাই ।পরেন নাই কেন ?? মনে মনে বলতে ছিলাম আমার জুতা পড়ি না গলায় দেই তোর কী .........মুখে বল্লাম ইচ্ছা করে ই পড়ি নাই ।
যে আমার সাথে কথা বলতে ছিল তার সাথের জন বল্ল এতো কথার কী আছে ধইরা লন ২ বারি দিলে সব কইয়া দিব । আমি তো একটু ভয় পাইলাম মনে মনে ভাবলাম হিমু হইতে জাইয়া বুজি এখন পুলিশ এর বারি ও খামু ।। তখন সে বল্ল না বারি টারি দিয়া কাম নাই। কানে কানে এক জন আর এক জনের সাথে কথা বল্ল তার পর বল্ল ৫০০ টাকা দেন ছাইড়া দেই । আমি বল্লাম ৫০০ টাকা কেন ?? আমি কী করলাম ?? বেশি কথা কইয়েন না মাথা গরম হইলে কিন্তু সোজা চালান দিয়া দিমু ।আমি ভাবলাম কী করা যায় পকেট এ মোবাইল ও নাই যে কাওকে ফোন দিব ।
আমি তখন বল্লাম দেখেন আমি স্টুডেন্ট আমার কাছে তো এতো টাকা নাই ৩০০ টাকা আছে । তখন সে বল্ল না ৩০০ টাকায় হবে না । পাসের জন বল্ল থাক স্যার ছাইরা দেন পোলা পাইন মানুষ । আচ্ছা তুমি যখন এতো কইরা কইতে ছো যাও ছইরা দিলাম । সে আমারে বলে খারাইয়া কী দেখ জলদি বাসায় যাও । কী আর করা শূন্য মানিব্যাগ নিয়া ক্লান্ত হিমু বেশে বাড়ীর দিকে হাঁটা দিলাম ।।
বুজলাম গল্পের নায়ক রা সব কিছু পারে যা আমরা পারি না আর এই সব হিমু গিরি, দাদা গিরি,সাকিব খান মার্কা মারা মারি গল্পে ই হয় বাস্তব বড় ই কঠিন ।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



