সারাদেশে ইয়াবার জয় জয়কার
কক্সবাজার টেকনাফ উখিয়াসহ পার্বত্যঞ্চলা ছেয়ে গিয়েছে ইয়াবায়। মন্ত্রীসভার বৈঠকে তিরস্কারে জর্জারিত মন্ত্রী বারান্দায় পায়চারি করছেন। তিনি ফোন দিলেন কদিউজ্জামান কদু ওরফে বাবা কদুকে। বললেন তার ব্যবসা দৌড়াত্ম কিছুটা কমাতে। মন্ত্রী বিব্রত, মন্ত্রীসভা বিব্রত, সরকার বিব্রত।
কদু হাসতে হসাতে বললেন, নির্বাচনের সময় টাকাটা আসে কোথা থেকে?
এই যে এইখানে নাচতে নাচতে চইলা আসো আমার কাছে, সোনার নৌকা লইয়া যাও। সোনাডা আসে কই থেকে, এই বাবা বেচা-কেনা থেকেই। আপনের বিব্রত লইয়া ফুডেন, আইছে আমার আমার ব্যবসা থামাইতে, পারুম না থামাইতে।
মন্ত্রী উচ্চসরে বলে উঠলেন "কদু..."
সঙ্গে সঙ্গে কদু হুংকার দিয়ে উঠলেন, চুপ... একদিন চুপ... সশশশশস...!!
মন্ত্রী সাহেব রাগে কাপতে কাপতে ফোন দিলেন পুলিশের আইজি এবং র্যাবের মহাপরিচালককে। গভীর রাতে জরুরী বৈঠক ডাকলেন তার বাসভবনে। সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলেন কাউকে ছাড় না দিতে।
র্যাব মহাপরিচালক মন্ত্রীর হাতে একটা লিস্ট দিলেন, হট লিস্ট।
মন্ত্রী সাহেব চোখ বুলিয়ে দেখলেন লিস্টে প্রথমেই আছে ইয়াবা সম্রাট কদুর নাম। তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম, তিনি কোন নির্দেশনা ফাইনাল না করেই চলে গেলেন ভেতরে। চেয়ারে বসে এক গ্লাস পানি খেলেন।
এমন সময় দলের হাইকমান্ড থেকে ফোন এলো যদি পরিস্থিতি সামলাতে না পারো গদি ছেড়ে দাও।
সারা শরীর ঘামে ভেজে পাঞ্জাবী গায়ে লেপটে আছে। লেপটানো পাঞ্জাবী নিয়েই বসার ঘরে ঢুকে র্যাবের মহাপরিচালকের দিকে কাগজ বাড়িয়ে বললেন লিস্টের কিছু নিচের দিকে নামের থেকে হাত দিতে। এও বলে দিলেন কদুর যাতে কিছু না হয়।
র্যাবের মহাপরিচালক একটা হাসি দিলেন এই হাসি অতি মধুর। কিন্তু মন্ত্রী সাহেব জানেন এই হাসি অতি ভয়ংকর কিছুর জানান দিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিলেন তিনি কদুকে। বললেন এখুনী নেক্সট ফ্লাইটে মক্কা চলিয়ে যাও, অভিযান শুরু হচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে এসো।
বিমানে উঠবেন ইয়াবা সম্রাট কদিউজ্জামান কদু।
ফোন বের করে শেষ ফোনটি করলেন মন্ত্রীকে। বললেন সাফ অভিযান যখন করবা এনামুলরে সাফ কইরা দেও। ব্যাটা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বড়ই ঝামেলা করতেছে আমার সাথে। সহ্য হচ্ছে না আমার ওরে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫