কদিন আগে তেজগাঁও-বিজয়সরনী ফ্লাইওভারের উঠার রাস্তায় এক লোকের বাইকের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। সাম-হাও তেল শেষ হয়ে যায় ব্রিজের উপর উঠার আগেই। লোকটা বাইক ধরে কাইত চিত করে শুইয়ে নানা কসরত করে দেখলেন স্টার্ট নেয় কিনা।
বাট এলাস, কিন্তু হায় বাইক আর স্টার্ট নিলো না।
তিনি ব্রিজে না উঠে গাড়ি ঘুড়িয়েই ১০০মিটার পিছনের পাম্পে যাবেন মনস্থির করলেন।
গাড়ি ঘুড়াতে দেরী সাইড লাইনের বাইরে বসে দৃশ্য দেখা বাংলা সিনেমার সেই "আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না" প্যাটেন্ট করা আমাদের জনগণের বন্ধু বাংলাদেশের সিংগহাম খ্যাত ট্রাফিক পুলিশের একজন আসিয়া তার গতিরোধ করিলো।
হাতের লাঠির ইশারায় তাকে গাছতলায় নিয়ে, বাইকের কাগজ চাইলো...
আমি ভাবলাম বাইকের কাগজ দেখলে আবার তেলের খালি টাংকি ফুল হইয়া যায় কিনা... নতুন টেকনিক!!
ওমা দেখি উনি উনার পজ মেশিন নিয়া নাড়াচাড়া দেয়া শুরু করলেন উল্টো পথে গাড়ি চালানোর মামলা দিতে।
এই দেশে বাংলাদেশ পুলিশের রচিত সবচেয়ে বড় মিথ্যা হচ্ছে "পুলিশ জনগণের বন্ধু!"
এইরকম মারা সারা দেয়া বন্ধু আমি জীবনে ২য় দেখি নাই। মাঝপথে গাড়ি/বাইকের তেল শেষ হওয়ার মত মানসিক অশান্তি কখনো এই মানুষগুলো হয়তো পায়নি...
পেলে তেলের ব্যবস্থা না করে লজ্জাকে পাশ কাটিয়ে মামলার মত অমানবিকতা দ্বার ওরা হয়তো ধরতো না।
এর নাম কি স্বাধীনতা?
এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৬