জামাতের যে ইমেজ সেটা অলরেডি আপনেরা দেখেছেন। জামাত যে বয়ান নিয়ে রাজনীতি করে সেটা (২০১০ পরে কি বয়ান সেটা জানি না) তবে তাদের রাজনীতি ১৯৪১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যা দেখিয়াছি তাতে আমার মুটামুটি অভিজ্ঞতা আছে।
সরল বিবেচনায় তারা ইসলামী আইন, কোরআনের আইন, আল্লাহর আইন চায়।
সেই আইন কি কি?
সেই আইন জনাব মওদূদী প্রণিত ইসলামি বিধিবিধান।
ইসলাম প্রিয় জনতার কাছে খুবই মুখরোচক হইলেও পীর, আলেম, মুফতীগণের অধিকাংশই মনে করেন জামাত ইসলাম ভ্রান্ত একটি ইসলামী আকীদা পোষণ করে। নবীজী, সাহাবা, শরিয়াহ ইত্যাদি নিয়ে জামাত ইসলামের বয়ান ইসলামী পন্ডিতগণ আসলে বাতিল করে দেন। জামাত আসলে ইসলামের ভিন্ন রকমের এক সংস্করণ হাজির করিয়াছে যাহা যুগোপযুগী বলে শিবির জামাতের লোকেরা দাবি করিয়া থাকেন।
এক্ষেত্রে শয়ে শয়ে যুক্তি তাদের কাছে আপনে পাইবেন তাই ই বিষয়ে নাক না গলিয়ে আমার কথা বলি।
জামাতে ইসলাম যদি সত্যিকারের ইসলামী দল হইত তাহা হইলে তাহারা রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের চাইতে আল্লাহর সুন্নাত, নবীর সীরাতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মুহাম্মাদ সাঃ কে মডেল মেনে সে অনুসারে জীবন যাপনের দীক্ষা দিত।
যেমন হজরত সাঃ কখনোই সম্পদ জমা করতেন না। জামায়াতে ইসলামি করে।
নবীজী অন্যায়ের সাথে আপোষ করতেন না। জামাত যেটা করে, হাসিনা + জামাতে ইসলাম এরশাদের আমলে নির্বাচনে গেছে।
নবীজী ইসলামের দাওয়াত দিতেন। জামাত ইসলামি দাওয়াতের নাম করে ফিতনা করে।
নবীজী সাঃ সম্পদের জাকাত কালেকশন করে তা বিলিয়ে দিতেন। জামাত করে কি না জানি না।
নবী সাঃ সম্পদ দান করতেন। জামাতের লোকদের ইহা করতে দেখি না।
সরল চোখে দেখলেই বুঝা যায় জামাত ইসলাম আসলে ইসলামকে প্রেজেন্ট/ধারণ করে না। তারা ধর্মের লেবাস ধারণ করে আসলে যেটা করে সেটা হইলো পলিটিক্স।
ইহা অপরাধ না। কিন্তু আমার কথা হইল ইসলামী দল নাম টা না নিয়ে রাজনীতি করুক না। তাতে সমস্যা না হবারই কথা। বরং তাদের পলিটিক্স আমি ভাল চোখেই দেখি। এই যে ভারত আমাদের গোলামির জিন্জির পরিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে যে ভু-রাজনৈতিক খেলা খেলছে সেটার বিরুদ্বে একমাত্র জামাতই স্পষ্টভাবে বয়ান হাজির করেছে। যেটা একসময় জিয়া করেছিলেন। আজকে যারা জিয়ার অনুসারী তারা মিনমিনে গলায় ভারতের হেজিমনির বিরোধিতা করে যা আসলে শক্তিশালী কোন বার্তা জনগণকে দেয় না।
ভারত আমাদের দেশে গণতন্ত্র চায় না কারণ এ হলে আমরা মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে যাব। এর ফলে ভারতের ওয়েস্ট বেঙ্গল সহ সাত বোন রাজ্য স্বাধীনতার গুরুত্ব বুঝে ফেলবে এবং স্বাধীন হইবার চেস্টা বাড়িয়ে দিবে।
টেকনিক্যালি এই সত্য অস্বীকার করার জো নেই যে ভারতের অখন্ডতার জন্য উন্নত বাংলাদেশ একটা খারাপ নজির স্থাপন করে ফেলবে।
অতএব এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই বাংলাদেশের জিও পলিটিক্স সাজাতে হবে। যা আসলে জামাত দ্বারাই সম্ভব বোধ হচ্ছে।
জাস্ট তাদের ইসলামী লেবাস টা বাদ দিতে হইবে, তবেই আলেম সমাজ তাদের সাথে হাত মিলাতে পারবে; সহজ হইবে উভয়পক্ষের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৫