ঢাকা শহরের একটি সহজলভ্য যানবাহন হচ্ছে লেগুনা। এতে আরোহন করলেই আপনাকে গুনতে হবে সর্বনিম্ন পাঁচ টাকা। এতে হেল্পার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কিছু সাহসী পিচ্চি পোলাপান (বাচ্চা বললে ভুল হবে না!)। দিনশেষে ড্রাইভার মিয়া এদের হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়-এতেই তারা খুশি! এরা সাধারনত ঝুলতে ঝুলতেই প্রাকৃতিক নিয়মে বড় হয়ে যায়!
লেগুনায় আরোহনের সময় এক পিচ্চিকে জিজ্ঞেস করলাম, “তুই কি এভাবে ঝুলেই যাবি, তোর প্রমোশন হবে না?”
তার উত্তর, “ওস্তাদের লগে থাকতে থাকতে একসময় ড্রাইভার হইয়া যামু! আমার ওস্তাদও তার ওস্তাদের লগে থাইক্কা ড্রাইভার হইছে!” (তাইলে বুঝেন, সড়ক দুর্ঘটনা ক্যামনে হয়?) ড্রাইভার ব্যাটারা এইসব পিচ্চিদের কাজে নেয় আরেকটা কারনে, এদের দিয়ে ধামকি-ধুমকি দিয়ে খুব সহজেই কাজ করিয়ে নেওয়া যায়।
যাইহোক, এইসব পিচ্চিগুলান সম্পর্কে আপনারা খুব ভালমতো বুঝতে পারছেন যে, ‘এদের ভবিষ্যত কতটা উজ্জ্বল (!)’
লেগুনার একটি বিশেষ নিয়ম-কানুন আছে। যেখানে প্রতিপাশে পাঁচজন বসাটা কষ্টের ব্যাপার, সেখানে প্রতিপাশে ছয়জন করে মোট বারজন বসতে হবে! যদি আরো দুই ইঞ্চি জায়গা থাকতো, সেখানেও মনে হয় আরেকজন বসার নিয়ম করত!
এরা এখানেই ক্ষান্ত নয়, বসার সিট পূরন হলে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সুব্যবস্থা আছে(!) পিছনে পিচ্চিটার সাথে অন্তত ৫-৬ জন ঝুলতে ঝুলতে যেতে পারবেন!
এদের রুল’স এন্ড রেগুলেশন এর মধ্যে ভাড়া কাটারও একটি সুনির্দিষ্ট চার্ট আছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গার নাম পরিবর্তনের মত দুইদিন পরপর এই চার্ট পরিবর্তন করা হয়।এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রায়ই ক্যাচালের সৃষ্টি হয়।
এটি লোকাল না সিটিং তা বোঝার কোন উপায় নেই! লোকাল-সিটিংয়ের মাঝামাঝি কিছু একটা হবে!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




