যেহেতু, ২০০৮ সালের ১৮ই এপ্রিল উভয়পক্ষের সম্মতিতে যৌথ প্রযোজনার একটা বানিজ্যিক সিনেমা তৈরির সমযোতা চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে বা হয়েছিল, সেই সমযোতা চুক্তির আলোকে এবং উভয়পক্ষের সম্মতিতে শ্যুটিং, ডাবিং, এডিটিং, সেন্সর সবই গোপনে সম্পাদন করা হল। যেহেতু যৌথ প্রযোজনার প্রযোজকদ্বয় উক্ত গল্পের নায়ক-নায়িকা, সুতরাং গোপন রইল তাদের চরিত্রের নামও। এমনকি গোপন রইল পাবলিককে শুভমুক্তির তারিখটিও জানানো। এত রোমান্টিক গল্পের ট্রাজেটিক সিনেমার কথা দীর্ঘ ৯ বছরেও এদেশের জানু জানু বিনোদন সাংবাদিকরা টের পেলনা। কাক-পক্ষী আর আমপাবলিক টের পাইব কেমনে????? সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল পাবলিক সিনেমার গল্প শোনার আগেই সিনেমার নায়ক-নায়িকা সিনেমা জগতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার “অস্কার” জয় করে নিয়েছেন। অস্কার বিজয়ের পর নায়িকা আর কালক্ষেপণ করতে চাচ্ছেন না, সিনেমা মুক্তির তাগিদ দিচ্ছেন, কারণ গ্রামার থাকতে থাকতে সিনেমা মুক্তি দিতে না পারলে সিনেমা যে অস্কার জয়ী, সেটা পাবলিককে বুঝাইতে কষ্ট হবে। যে লাভের আশায় মূলধন ইনভেষ্ট করেছেন, সময়মত সিনেমা মুক্তি দিতে না পারলে লভ্যাংশ আশা করা তো দুরের কথা মূলধন যেটা ইনভেষ্ট করা হয়েছে সেটাও আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু নায়ক অস্কার বিজয়ের পর আর সিনেমা মুক্তি দিতে রাজি নয়, কারণ মুক্তি পাবার আগেই যদি অস্কার পুরস্কার পাওয়া যায়, তাহলে শুধু শুধু আর সিনেমার গল্প প্রকাশ করে লাভ কি।দরকার পড়ে এই গল্পে অন্য সিনেমাতে শ্যুটিং হবে। সিনেমা মুক্তি দিলে টেনশন যদি সিনেমা ফ্লপ হয়??? মূলধনে ঘাটতি পরে??? সেহেতু এখানে এসেই সিনেমার ট্রাজিটি দৃশ্য শুরু হয়ে গেল।
পূর্ব ঘোষণা আর উভয় পক্ষের সম্মতি ছাড়াই একপক্ষ পাবলিককে সারপ্রাইজ দিয়ে অস্কার জয়ী পূর্ণদৈর্ঘ বাংলা ছায়াছবি এক্সক্লোসিভ (Exclusive) ভাবে মহা সমারোহে পাবলিকের প্রেক্ষাগৃহে পর্দার উন্মোচন করলেন।
[বি:দ্র:] সিনেমাটি সুপারফ্লপ হউক বা বক্স অফিস হিট করে উন্নয়নের আগাম বন্যা নিয়ে আসুক তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু যাদের অভিনয়ে মহামূল্যবান অস্কার পুরস্কারটি অর্জন করেছেন, অস্কারের যেনো কোনো অবহেলা না হয়। সে যেনো থাকে সব সময় আদরে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪৮