somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কল্পতরু

২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নিকষকালো অন্ধকার। ঘোরলাগা বাড়িঘর। তবুও আমরা হেঁটে যাই দূর দিগন্তের পানে। বাড়িঘর থেকে মাঝেমাঝে শিশুর খলখল হাসির শব্দ ভেসে আসে। দিনযাপনের হিসেবখানা শূন্য করে হাসিটুকু মুঠোয় ভরে আমরা চলতে থাকি। ছড়িয়ে দেই প্রকৃতির উঠোন পরে। এক পশলা বৃষ্টি হলে রঙধনু হয়ে দেখা দেয় গগন কোনে। বসুন্ধরা নবরূপে আবির্ভূত হলে রঙধনুর সাতটি রঙে আমরা আঁকি নতুন আলপনা। আলপনা কল্পনা গুলো জমাট বাঁধলে আমরা আবারও শুরু করি আদি হতে। হাতরে ফিরি পুরনো সিন্দুকে রাখা সুরমা আর কাজল দানি। আঁখিপটে সুরমা ছিটিয়ে আর কাজলরেখা অংকন করে নব জ্যামিতিক রেখার সূত্রপাত ঘটাই। রেখাসমূহ আবদ্ধ করে সৃষ্টি করি নবনব ক্ষেত্র। যাবতীয় অ বা কূ বূহ্য রচনা করাই আমাদের প্রয়াস। ক্ষেত্রের মধ্যেই আমরা বসবাস করি। ইচ্ছে হলেই রেখাসমূহ পরিস্কার অভিযান চালাই। আবারও শুরু করি নবক্ষেত্র সৃষ্টি উল্লাস। খেলা শেষ হলে আমরা আবারও হাঁটা শুরু করি। কখনও ছুটাছুটি করে অমাবস্যায় জোনাক ধরি বা জ্যোৎস্না রাত্রিরে অঞ্জলি ভরে জ্যোৎস্না আহরণ করি। জ্যোৎস্না আর জোনাকের আলোতে আমরা হাঁটতে থাকি কখনও ডানে কখনওবা বামে। রাত্রি শেষে জ্যোৎস্না আর জোনাক বিদেয় করি। ভোরের কুয়াশার চাদর সরিয়ে উঁকি দেই পূব আকাশে। রূপকথা শোনাই সূর্যিমামাকে। সূর্য্যিমামা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়ে প্রকান্ড আকার ধারণ করলে আমরা পশ্চিম দিকে ভোঁ দৌঁড় দেই। শিমুলডালে ঘুঘুর ডাক শুনে বিমোহিত হলে কোকিল নিয়ে যায় তার দেশে। বউকথা কও কাছে এলে বুলবুলি ফুলবাগানে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যায়। টুনটুনি আর প্রজাপতির সনে গোপন আলাপ সেরে দৃষ্টি মেলাই গগন পানে। বাবুইদের বাসা ভাড়া করি সন্ধ্যা অবধি। রাত্রি নেমে এলে আকাশের তারা গুনি। পরিতৃপ্তি সহকারে তারা গোনার পর তাদের দূরত্ব ইত্যাকার বিষয়ে মনোনিবেশ করি। সাতটি তারার সম্পর্ক নির্ধারণ করতে করতে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৩
৫৮টি মন্তব্য ৫৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×