নিকষকালো অন্ধকার। ঘোরলাগা বাড়িঘর। তবুও আমরা হেঁটে যাই দূর দিগন্তের পানে। বাড়িঘর থেকে মাঝেমাঝে শিশুর খলখল হাসির শব্দ ভেসে আসে। দিনযাপনের হিসেবখানা শূন্য করে হাসিটুকু মুঠোয় ভরে আমরা চলতে থাকি। ছড়িয়ে দেই প্রকৃতির উঠোন পরে। এক পশলা বৃষ্টি হলে রঙধনু হয়ে দেখা দেয় গগন কোনে। বসুন্ধরা নবরূপে আবির্ভূত হলে রঙধনুর সাতটি রঙে আমরা আঁকি নতুন আলপনা। আলপনা কল্পনা গুলো জমাট বাঁধলে আমরা আবারও শুরু করি আদি হতে। হাতরে ফিরি পুরনো সিন্দুকে রাখা সুরমা আর কাজল দানি। আঁখিপটে সুরমা ছিটিয়ে আর কাজলরেখা অংকন করে নব জ্যামিতিক রেখার সূত্রপাত ঘটাই। রেখাসমূহ আবদ্ধ করে সৃষ্টি করি নবনব ক্ষেত্র। যাবতীয় অ বা কূ বূহ্য রচনা করাই আমাদের প্রয়াস। ক্ষেত্রের মধ্যেই আমরা বসবাস করি। ইচ্ছে হলেই রেখাসমূহ পরিস্কার অভিযান চালাই। আবারও শুরু করি নবক্ষেত্র সৃষ্টি উল্লাস। খেলা শেষ হলে আমরা আবারও হাঁটা শুরু করি। কখনও ছুটাছুটি করে অমাবস্যায় জোনাক ধরি বা জ্যোৎস্না রাত্রিরে অঞ্জলি ভরে জ্যোৎস্না আহরণ করি। জ্যোৎস্না আর জোনাকের আলোতে আমরা হাঁটতে থাকি কখনও ডানে কখনওবা বামে। রাত্রি শেষে জ্যোৎস্না আর জোনাক বিদেয় করি। ভোরের কুয়াশার চাদর সরিয়ে উঁকি দেই পূব আকাশে। রূপকথা শোনাই সূর্যিমামাকে। সূর্য্যিমামা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়ে প্রকান্ড আকার ধারণ করলে আমরা পশ্চিম দিকে ভোঁ দৌঁড় দেই। শিমুলডালে ঘুঘুর ডাক শুনে বিমোহিত হলে কোকিল নিয়ে যায় তার দেশে। বউকথা কও কাছে এলে বুলবুলি ফুলবাগানে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যায়। টুনটুনি আর প্রজাপতির সনে গোপন আলাপ সেরে দৃষ্টি মেলাই গগন পানে। বাবুইদের বাসা ভাড়া করি সন্ধ্যা অবধি। রাত্রি নেমে এলে আকাশের তারা গুনি। পরিতৃপ্তি সহকারে তারা গোনার পর তাদের দূরত্ব ইত্যাকার বিষয়ে মনোনিবেশ করি। সাতটি তারার সম্পর্ক নির্ধারণ করতে করতে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




