![]()
১। ঘূর্ণিচোখ
চোখের ভেতর ঢুকে গেল দিগন্তের নীল
চরের হাওয়া বালির রাশি উচ্ছন্ন মেঘ বজ্র নিনাদ
চোখের ভেতর ঢুকে গেল গরল জল
ধূপের ধোঁয়া আধ খাওয়া এক জীবন মোয়া।
চোখের ভেতর ঢুকে গেল আয়ুর নাচন
দৈবশংকা জীবন মরণ বাঁচার কারণ
চোখের ভেতর ঢুকে গেল এক পোড়া চোখ
মুখের হাসি গলার ফাঁসি বিষের বাঁশি।
চোখের ভেতর হারিয়ে গেল
দুটো চোখ চারটে চোখ
চোখের ভেতর দশটি চোখ
হাসি কান্নার দশটি মুখ।
চোখের ভেতর ঘূর্ণিচোখ
ঘুরতে ঘুরতে পড়তে পড়তে
উঠতে উঠতে জাগতে জাগতে
জ্বলে উঠলো হাজার চোখ সহস্র মুখ
সূর্য-ভেলায় ভাসতে ভাসতে বাঁচার সুখ।
২। বায়ুর বুকে আয়ু
আমি অস্থির হয়ে পাতায় আছি
এ পাতা থেকে ও পাতা
এ ডাল থেকে ও ডালে
গুড়ি বেয়ে শিকড়ে।
বিধি আর কত যাবো গভীরে
তোমার ঝড় থামাও
আমি আর জল হয়ে
চলতে পারছি না।
জীবন সঁপেছিলাম বায়ুতে
শিশির হয়ে পাতার শিয়রে
পাতা থেকে মাটিতে
বিধি অশান্ত পৃথিবী শান্ত করো
আবার শিকড় থেকে শিখরে উঠাও
আমি বায়ুর বুকে আয়ু রাখতে চাই।
৩। একা ও একাকীত্ব
যে একা সে একা সর্বত্র
ভিড়ের বাসে একা পথে একা
রাতে একা দিনে একা
একা মাঝ দরিয়ায়।
সে ভাসছে এক অচিন যাত্রী
কোন গন্তব্যের পিছুটান নেই
কোন নির্দেশনা নেই
তাড়া নেই তীরে ভেড়ার।
একাকীত্ব কি কোন মানুষের
একক কোন অর্জিত সম্পদ?
মানুষ জন্মে একা মরনে একা
সূর্য উঠে মেঘ নেই তাই রোদ
একাকীত্ব বুঝি সব মানুষেরই রোগ।
ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


