বাংলাদেশের চা শিল্প ও চা শ্রমিকরা হুমকীর মুখে। প্রতিকার কী?
( ধারাবাহিক-১৫ )
-সৈয়দ আমিরুজ্জামান
চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর দাবীঃ
চা শ্রমিকদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনধারণ উপযোগী মজুরী, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, প্রতিটি চা বাগানে ১টি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রতিটি ফাঁড়ি বাগানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বাগান কর্তৃপক্ষের খরচে চা শ্রমিক সন্তানদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার ব্যবস্থা, আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণসহ প্রত্যেক বাগানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক এমবিবিএস ডাক্তার-নার্স নিয়োগ, পর্যাপ্ত ওষুধপত্র সরবরাহ, বসতভিটার স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়াসহ চা শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও পর্যাপ্ত ঘর-বাড়ি নির্মাণ, প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র সরবরাহ, চা চাষ সম্প্রসারণকল্পে নতুন কর্মসংস্থান, বাগানের অনাবাদী জমিকে আবাদযোগ্য করা, চায়ের উৎপাদন ও গুণগতমান বৃদ্ধি করা, চা শ্রমিকদের শিক্ষিত সন্তানদের কর্মসংস্থান অথবা বেকার ভাতা প্রদান, ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত সেনিটেশন, রেশনে খাওয়ার উপযোগী উন্নত আটা বা চাল সরবরাহ, মাথাপিছু রেশনের পরিমাণ ৪ কেজি ধার্য্য করা, প্রতিটি বাগানে সাংস্কৃতিক বিকাশে সমৃদ্ধ গণ পাঠাগার, খেলাধুলার প্রয়োজনীয় উপকরণ সমৃদ্ধ ক্লাব নির্মাণ, সুস্থ রুচিসম্মত বিনোদনের ব্যবস্থা, চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য পৃথক চাকুরীর কোটা নির্ধারণ, চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, প্রতিটি চা বাগানের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের প্রকৃত হিসাব চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর কাছে প্রকাশ করা, চা শ্রমিকদের জন্য শেয়ার মালিকানা ঘোষণা করা, প্রতিটি বাগানের মুনাফার ২০% চা শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করা, চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী কমপক্ষে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা, প্রতিটি বাগানে আইএলও কনভেনশন ও জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার, নারী ও শিশু অধিকারসহ চা শিল্প শ্রম আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ইত্যাদি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


