
সেদিন এক ডাক্তার বড় ভাইয়ের সাথে আলাপচারিতায় তিনি কিছু ভয়াবহ তথ্য দিলেন মানুষের রিলস দেখা নিয়ে। সেগুলার সামারি হলঃ
উনার কাছে কিছু রোগী আসে বিষণ্মতা, নিজেকে শেষ করা, হঠাৎ মনযোগ হারিয়ে যাওয়া এসব নিয়ে। এদের কেউই মাদকাসক্ত নয়। না আছে কারও জীবনে নারী ঘটিত বিষয় না টাকা পয়সা নিয়ে সমস্যা, না বাজে ভিডিও ইত্যাদি দেখার সংক্রান্ত বিষয়। তারপরও তাদের এই অবস্থার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখেন যে, মিনিট দশ এর উপর যারা রিলস দেখে তাদের এই অবস্থা। এমন নয় যে রিলস এর বিষয় খারাপ। সেগুলো কাজের, উৎসাহমূলক। কিন্তু সমস্যা এই রিলসই।
একেকটা রিলস কিছু সেকেন্ডের হয়। তারপর এই ধরনের আরেকটা নতুন আসে। পুরাতন খুবই কম আসে। মাঝে মধ্যে একই বিষয়ের নতুন উপস্থাপনার রিলসও আসে। ফলে, এই স্বল্প সময়ের বিষয় মাথায় মারাত্মক ডোপামিন ক্ষরণ করে আর মজা পাওয়া যায়। এতে করে, এই মজা আরো পেতে মন চায়, আর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। ঘন্টা খানেক না গেলে নিজের মাঝে খেয়ালও হয় না কি করছিলাম।
ভাইয়ের মতে, খারাপ ভিডিও বেশ সময় দেখতে হয়। এর মাত্রা যতই বাড়ানো হোক, এর সমাপ্তি ঘটে সুখপ্রাপ্তির পর; তারপর এটা বন্ধ করে দেয় লোকেরা। এরপর আর ডোপামিন ক্ষরণ হয় না, কারণ শক্তির একটা সীমা থাকে। কিন্তু রিলস এ এমন কিছুই ঘটে না। যা হয়, পুরোটাই মাথায়। ফলে বেশি বেশি ডোপামিন ক্ষরণের পর মাথার আর বোধ শক্তি থাকে না। আর এটা ফেরত আনাটাও ড্রাগ এডিক্টদের চেয়েও ভয়াবহ। কারণ, এর বাহ্যিক কোন ক্ষয় দেখা যায় না। তাই ব্যক্তি নিজে ছাড়া বাকীরা দেখতেও পায় না। আর উপকরণ হাতের কাছেই থাকে। ফেসবুক, ইনস্টা, টিকটক, ইত্যাদিসহ এসব প্ল্যাটফর্ম একেবারে সহজলভ্য আর এর কোন একটা ব্যবহার করতেই হয়। ফলে বের হতে চাইলেও বের হওয়াটা কঠিন।
এসব জানার পর আপনার বক্তব্য কি? .
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




