উপস্থিত ভদ্রমহোদয়গণ,
আমি যে ছেলেটির গল্প আজ আপনাদেরকে বলবো সে কোন অসাধারণ ছেলে নয়। তার মতো হাজার হাজার ছেলে আছে বাংলাদেশে।
আমি যে ছেলেটির গল্প বলছি সে বাংলাদেশের কোন এক জেলা শহরের উপকণ্ঠের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। গরীব ঘরের ছেলে। সারাটা জীবন বাবা মায়ের অভাব আর নাই নাই দেখ দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে একান্তই নিজস্ব প্রচেষ্টায়। একটি আবাসিক হলে থাকে।
বাবা-মার সাধ্য নেই নিয়ম করে মাসের ১/২ তারিখে টাকা পাঠানোর। তাই সে কিছু টাকা রোজগার করতে চেষ্টা করে। জেলা শহরে টিউশনী পাওয়া কঠিন। কদাচিৎ যাও পাওয়া যায় তাতে টাকার পরিমাণ খুবই কম। হলের খরচ, বেতন, যাতায়াত স্টেশনারী খরচ তো আর ক নয়।
খরচ কমানোর উপায় খোঁজে সে।
হলের ডাইনিং বয় রাজ্জাক মিয়া রুম সার্ভিস দেয়। টিফিন ক্যারিয়ারে করে খাবার রুমে রুমে দিয়ে যায়। তাকে মাসে কিছু টাকা দিলেই এই কাজ সে হাসিমুখে করে। সবারই এতে উপকার।
রাজ্জাক অনেক বেশী ভাত দেয়। রাতে সব ভাত সে খায় না। কিছু ভাত পানি দিয়ে রেখে দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই ভাত কখনো একটি ডিম ভেজে, কখনো একটি কলা দিয়ে মেখে সে খেয়ে নেয়। নাস্তার টাকা বেঁচে যায়। তারপর ছুটে ক্লাসের দিকে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে তাকে। টাকার অভাব তাকে দমিয়ে রাখতে পারে না।
ছেলেটির চোখে - মুখে দারুণ এক স্বপ্ন। বাঁধার সকল পাহাড় ডিঙ্গিয়ে সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে চায়।
গরীব ঘরের সন্তানেরা বেশী বড় স্বপ্ন দেখে না। তাদের স্বপ্নগুলো হয় খুবই সাধারণ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৭