বাল্য কালে যখন সবে মাত্র বাংলা ভালো ভাবে পড়তে শিখেছি এবং নিকটবর্তী দূরত্বে যাতায়াত করতে শিখেছি তখন বাবা-মায়ের নির্দেশে প্রায়ই মুদির দোকানে যেতে হতো টুকটাক জিনিস পত্র কিনতে।
সেই সময়ে দোকানে বেশ কিছু আকর্ষণীয় বাণী লেখা থাকতো। সেই ঐতিহাসিক বাণী সমূহ আজ ও মাঝে মাঝে মনে পড়ে।
১। বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না।
২। আজ নগদ কাল বাকি।
৩। নগদ বিক্রি পেটে ভাত , বাকি বিক্রি মাথায় হাত!
৪। বাকি বিক্রি বড়ই কষ্ট, বাকি বিক্রিতে সম্পর্ক নষ্ট।
৫। যদি চান ভালোবাসা, না করিবেন বাকির আশা।
৬। বাকি বিক্রি ফাঁকি, আবার কেন বাকি?
৪। ব্যবহারে বংশের পরিচয়।
এত ঐতিহাসিক বাণী ঝুলিয়ে দেওয়ার পরেও কিন্তু অনেক মানুষের মাঝে জিনিসপত্র কিনে বাকি রাখার প্রবণতা থেকেই গেছে। ফলে দোকানদারকে পণ্য বিক্রির সাথে সাথে নাম ঠিকানা সম্বলিত একটি বাকির খাতাও খুলতে হয়। এই খাতা দেখে মাঝে মাঝে তাগাদা দিতে হয় তাগাদা দিলেও অনেক সময় কাজ হয় না। তাই আরেকটি খাতা খুলতে হয়। যে খাতার নাম ছিল চির বাকির খাতা।।
বাকিতে পণ্য বিক্রি করতে করতে এমন হয়েছে অনেক সময় দোকান লাল বাতি জ্বালিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। দোকানের মালিক বাকির খাতা হাতে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাকি টাকা আদায়ের জন্য ঘোরাঘুরি করছে। তাকে অনেকেই আবার উল্টা জিজ্ঞেস করে, তোমার তো দোকান ই নাই আবার খাতা নিয়ে ঘুরতাছো কেন?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬