ব্যভিচার তথা ধর্ষন সমাজকে কুলষিত করে।
ব্যভিচারের কারণে সমাজে আল্লাহর লানৎ অবর্তীণ হয়।
ইসলামী জীবনে ব্যভিচার হারাম ও জঘন্য অপরাধ।
বিবাহিত ব্যক্তি ব্যভিচার করলে তার কি শাস্তি হবে তা কুরআন এবং হাদিসে সুস্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে।
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হইও না। এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ৩২),
এখানে ব্যভিচারের শাস্তির দুটি হাদিস তুলে ধরা হলো-
আল্লাহ বলেন, ‘ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়কে একশ’ ঘা করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরী করবে। এদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের অভিভূত না করে। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাক। ঈমানদারদের একটি দল যেন এদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ (সুরা নুর : আয়াত ২)।
হাদিসে এসেছে- একবার বনি আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এসে বলল, আমি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছি।
আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি এ কথা আর কাউকে বলেছ?
সে উত্তর দিল, না।
তখন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তুমি আল্লাহর কাছে মাফ চাও এবং গোপনীয়তা রক্ষা কর। আল্লাহ তোমার দোষ গোপন রাখবেন এবং তোমার তাওবা কবুল করবেন।
এ কথায় আশ্বস্ত না হয়ে সে হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু নিকট গেল এবং পূর্বের মতো বলল। ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে আবু রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতো বললেন। কিন্তু সে কিছুতেই আশ্বস্ত হতে পারল না।
অতঃপর সে হজরত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বলল আমার দ্বারা ব্যভিচার সংঘটিত হয়েছে।
রাসুল সা ঃঃ মুখ ফিরিয়ে নিলেন। যখন সে তার কথা ওপর জিদ ধরে রইল, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার পরিবারের লোকদের ডাকলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, এ কি পাগল? এখনও কি পাগলামি করছে?
তারা উত্তর দিল না, হে আল্লাহর রাসুল!, সে সম্পূর্ণ সুস্থ।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি বিবাহত না অবিবাহিত?
সে উত্তর দিল, আমি বিবাহিত।
তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড (রজম) দিলেন।’
বাংলাদেশ একটি ইসলামী রাষ্ট্র। এখানে কেন ব্যভিচারী ধর্ষনকারীদেরকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয় না?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬