মালয়েশিয়াতে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় দশ লাখের উপরে বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিক কাজ করে।
নিজ দেশে জীবন ও জীবিকার সহজ সুন্দরতম উপায় খুঁজে না পেয়ে পরিবার-পরিজন ফেলে জমিজমা বিক্রি করে তারা পাড়ি জমিয়েছে মালয়েশিয়াতে। এখানে তারা কঠোর পরিশ্রম করে। দুনিয়া মাতোয়ারা কৃষ্ণ মজুরি পায়। এই সব লাখ লাখ শ্রমিক নানানভাবে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিকে সচল করে রেখেছে। কিভাবে? তার সামান্য কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি।
১। প্রতি বছর ভিসা নবায়ন করার সময় তারা মালয়েশিয়ান সরকারকে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার রিঙ্গীদ লেভি হিসেবে পরিশোধ করে। এই বিশাল অঙ্কের রাজস্ব মালয়েশিয়ার সরকারি কর্মকান্ডে অর্থ যোগান দেয়।
২। প্রবাসের শ্রমিকরা অন্তত একটি করে মোবাইলের সিম ব্যবহার করে। হলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা ধরেই নেওয়া যায় প্রায় ১০ লাখ সিম ব্যবহার করছেন। মালয়েশিয়াতে একটি সিমে প্রতি মাসে ৩০ রিঙ্গিত রিলোড না করলে সিম ব্যবহার উপযোগী থাকে না। তাই ধরেই নেয়া যায় মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ লক্ষ রিঙ্গিত পাচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে।
এখন ইন্টারনেটের কল্যাণে নানান ধরনের কল করা যায়। কিন্তু এক সময় মোবাইল সিমের কল ছাড়া বিকল্প আর কিছু ছিল না । তারও আগে ছিল টিএনটির ল্যান্ড লাইন ফোন।
৩। ১০ লাখ প্রবাসী শ্রমিক প্রতি দিন যে পরিমাণে খাবার খায় সেই খাবারের জন্য এখানকার দোকানপাটে বেচাকেনা হয়। রেস্টুরেন্টগুলোতে ব্যবসা জমজমাট হয়।
৪। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনা একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসায়ে বাংলাদেশের দালাল এবং মালয়েশিয়ার দালাল উভয়েই জড়িত থাকে। এবং তারা প্রচুর পরিমাণে লাভ করে।
পরিণামে শ্রমিকদের বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া তে আসার খরচ অনেক অনেক গুন বেড়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭