বাংলাদেশের বাজার (মার্কেটিং) ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি আছে যা সচরাচর কারো চোখে হয়তো পড়ে। আবার কারো চোখে হয়তো পড়ে না। আমি বাজার করতে গেলেই ব্যাপারটি খুব অনুভব করি।
কেউ কেউ হয়তো বা একমত নাও হতে পারেন। এটা তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। তবে একটু ভেবে দেখা যেতেই পারে। সেদিন একটা কুড়াল মাছ পছন্দ হলো। ওজন দেয়ার পর দেখা গেল প্রায় ৭ কেজি ওজন। প্রতি কেজি ১৩০০ শত করে দাম চাইল। ফলে দাম আসে প্রায় ৯ হাজার টাকা মতো।
এখন কথা হচ্ছে এই বিশাল ওজনের মাছ কেনার সামর্থ্য আমার আছে কিনা? আরেকটি বিষয় হলো- আমার ছোট পরিবার এই বিশাল ওজনের মাছ খেয়ে শেষ করবে কত দিনে? এই সমস্যার সমাধান কী?
সমাধান আছে। তবে আমাদের মধ্যে যাদের প্রচুর টাকা আছে তারা আস্ত একটা মাছ কিনতেই পারেন। তবে যাদের বাজেট কম তারা সংসার চালান খুব হিসাব নিকাশ করে। তারা চাইলেই এতো বড় মাছটি আস্ত কিনতে চাইবেন না। তারা মনে মনে চাইবেন মাছটি যদি কেটে বিক্রি করতো তাহলে ৫০০ গ্রাম কিংবা ১ কেজি কিনতেন। আমাদের বাজারগুলোতে এই ব্যবস্থা সচরাচর দেখা যায় না। অথচ এটা থাকা খুবই দরকার।
এক জন মানুষ যার অত বড় বাজেট নেই সে কি বড় বা দামী মাছ কিনবে না? সেই সুযোগ কি থাকা উচিত না। অবশ্যই থাকা উচিত।
ক্রেতা যে পরিমাণ সামর্থ্য রাখে সেই পরিমাণ বিক্রির ব্যবস্থাও থাকা দরকার। দেশের বাইরে যে কোন জিনিস ইচ্ছে মতো পরিমাণে কেনা যায়। দেশে কেন কেনা যাবে না। কেউ চাইলে ২৫০ গ্রাম মাছ বা মাংস, পেয়াজ, রসুন, আদা যাই হোক কেন কেনার স্বাধীনতা থাকা দরকরা। কারো মনে চাইলে ৩টি আলু, ৪ টি পেয়াজ কেনার স্বাধীনতাও থাকা উচিত।
আমাদের দেশের মানুষ ফুটানি দেখাতে গিয়ে একবারে পেয়াজ কেনে ১০ কেজি, আলু কিনে ৫ কেজি, মাছ কিনে ২০ কেজি, গরুর মাংস কিনে ১৫ কেজি এবং আরো অনেক। ফলে বাজারে হাহাকার দেখা দেয়। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
এটা কি খুব বেশী প্রত্যাশা করা হবে? আমার মনে খুব বেশী প্রত্যাশা নয়। এটাই হওয়া উচিত স্বাভাবিক নিয়ম।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



