একটি বিষয় আপনারা একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন । খুবই মজার একটি বিষয়। সেটা হচ্ছে- বিদেশে মানুষ যায় কাজে। আর আমাদের দেশে মানুষ যায় অফিসে!
এই জিনিস আপনারা আগে কখনো খেয়াল করেছেন কিনা জানি না। বিষয়টি খেয়াল করা খুবই দরকার।
আমাদের দেশের যে সমস্ত মানুষ দেশের বাইরে থাকে বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য উন্নত দেশ সমূহে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি আমি লক্ষ্য করেছি। শুধু তারাই নয় ওই সমস্ত দেশের নিজেদের নাগরিকরাও প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বাসা থেকে কাজে চলে যান আবার ৮ ঘন্টা ৯ ঘন্টা বা এর চেয়ে বেশি সময় কাজ করে আবার বাসায় ফিরে আসেন ।
এ সময় যদি তাদের বাসায় লাইন ফোনে কল দেওয়া হয় এবং তাদের পরিবারের কর্তা ব্যক্তিটির খোঁজ জানতে চাওয়া হয় তাহলে ছেলে মেয়েরা অথবা অন্য কেউ উত্তরে বলে যে-: উনি কাজে গেছেন ।
কখন ফিরবেন ?
তখন বলবেন যে - কাজ শেষ হলে সন্ধ্যা ছয়টায় আবার বাসায় ফিরে আসবেন ।
কথাটা অনেকটা এরকমই হয়ে থাকে। গতকাল আমি কল করেছিলাম বাইরের একটি দেশে। ধরেছিল তাদের ৬-৭ বছরের ছোট্ট কন্যাটি । তাকে জিজ্ঞেস করা হলো- তুমি কেমন আছো ?
সে বলল - আমি ভালো আছি।
তোমার বাবা কেমন আছে?
তুমি এখন কি করছো ?
সে বলল- বসে থাকছি ।
আর কি করছো
তোমার সাথে টেলিফোনে কথা বলছি ।
এরপর জিজ্ঞেস করা হলো - তোমার বাবা কোথায়?
সে বলবে- বাবা তো কাজে গেছে!
এবার এই বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটু খেয়াল করে দেখবেন এখানে কি ঘটে ।
এখানে প্রতিদিন সকালে যদি খোঁজ নেন তাহলে জানতে পারবেন বেশিরভাগই জবাব দিবে আমি তো অফিসে যাচ্ছি, বাবা তো অফিসে যাচ্ছে ।
এই জাতীয় উত্তরগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আসবে তো এই আলোচনা থেকে একটা বিষয় সুস্পষ্ট হলো যে দেশের বাইরে যারা থাকে তারা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে কাজে যায় এবং কাজ করে ফিরে আসে।
আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে জিনিসটি খেয়াল করে দেখা গেল এখানেও একটি নির্দিষ্ট সময় মানুষ জন অফিসে যায় এবং ফিরে আসে।
এই দুইটা পরিবেশে কথাবার্তার দুইটা ধরন হওয়ার কারণটা আসলে কী ?
আমি দুই একজনকে জিজ্ঞেস করলাম ।
তারা বলল, এরা তো অফিসে গিয়ে ধান্দাবাজি করে, ঘুষ খায় । তারপর টাকার বস্তা নিয়ে ফিরে আসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে এবং এই কাজের বিনিময়ে তারা স্যালারি পায় এবং খাদ্য পায় পার্থক্যটা নাকি এখানেই।
অফিসে যাওয়া আর কাজে যাওয়ার মধ্যে আপনারা কী কী পার্থক্য দেখতে পান?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২২