প্রথম আলোর এই খবরটি পড়ুন৩১শে মার্চ ২০২৪ মালয়েশিয়ায় যে সমস্ত শ্রমিক যাবেন তাদের ব্যাপারে ভিসা দেয়ার চূড়ান্ত একটা তারিখ এর পরে মালয়েশান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের শ্রমিকদেরকে আর ভিসা দিবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বলে পত্র পত্রিকার খবরে প্রকাশ।
আমাদের ব্লগার রাজিব নুর সাহেব ২০১৭ সালে কথা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের জনসংখ্যা যে জনসম্পদ সেটা প্রমাণ করার জন্য একটা গঠনমূলক পোস্ট দিবেন এবং তিনি দেখিয়ে দিবেন যে বাংলাদেশের এই জনসংখ্যা কোন সমস্যাই না এদেরকে জনসম্পদে পরিণত করার জন্য তার হাতে ফর্মুলা রয়েছে ।
সে যাই হোক ২০১৭ সাল থেকে এখন মোটামুটি ৬/৭ বছর পার হয়ে গেছে। তিনি তার ফর্মুলা উদ্ভাবন করতে পারেননি ।
আসলে এই ফর্মুলা কেউই উদ্ভাবন করতে পারবে না ।
সবাই খালি বলবেন যে বিদেশ থেকে এরা প্রচুর পরিমাণে রেমিটেন্স নিয়ে আসে।
এটাই জনসম্পদের মূল লাভ।
এখন তো দেখতে পারছেন যে আসলে বিদেশের আমাদের এই জনসম্পদের আর তেমন চাহিদা নেই
মালয়েশিয়া নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ।
এরপর এক সময় দেখবেন সৌদি আরব বন্ধ করে দিবে।
কাতার বন্ধ করে দিবে। কুয়েত বন্ধ করে দিবে ।
২০২৪
অন্যান্য সবাই বন্ধ করে দেবে।
কেননা এখন যুগটা হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ । একজন মানুষকে দিয়ে কাজ করাতে যে পরিমাণ খরচ হয় সেই খরচ দিয়ে একটি রোবট এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নিয়ে অনায়াসে সাত আট জন মানুষের সমপরিমাণ কাজ পেতে পারে যে কোন প্রতিষ্ঠান।
এ কারণে মানুষের আর তেমন কোন চাহিদা থাকবেই না।
মানুষের খাবার কিভাবে জুটবে সেই চিন্তায় মানুষ অস্থির হয়ে উঠবে।
তাই বলছি ,- বাংলাদেশের জনসংখ্যা কিন্তু আসলেই জনসম্পদ না । জনসম্পদ তখনই হতে পারতো যদি জনসংখ্যাটা আয়তন ও সম্পদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটা সুন্দর জনসংখ্যা দেশে পরিণত হতে পারতো ।
এখন আমাদের যেটা হচ্ছে জনসংখ্যা বাড়তে থাকো আমরা শ্রমিক হিসেবে এদেরকে বিদেশে রপ্তানি করে টাকা ইনকাম করব।
কিন্তু বিদেশে শ্রমিকদের চাহিদা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে সেটা এখন প্রমাণিত।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৮