বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক একটি শ্রেণীর মানুষ আছে যারা অন্যকে ঠকিয়ে খুবই মজা পায়। এই ঠকানোর পিছনে অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার একটি অসৎ উদ্দেশ্য লুকায়িত থাকে।
তাদের মধ্যে সিংহভাগ আবার ব্যবসা বাণিজ্য করে। ব্যবসা-বাণিজ্য যারা করে তারা প্রতিনিয়তই খরিদ্দার কে ঠকিয়ে থাকে। একবার ঠকানোর পর তারা মনে মনে অসাধারণ এক পৈশাচিক শিহরণ ও আনন্দ অনুভব করে।
যেমন ধরুন কেউ হয়তো ২০ টাকার জিনিস ক্রেতাকে ২০০ টাকায় গছিয়ে দিয়ে/বিক্রি করে খুবই আনন্দ লাভ করল। ক্রেতাও কি আর করা, এটাই নিয়তি ইত্যাদি ভেবে মেনে নিচ্ছে।
যেহেতু এরা বিশাল একটা ঠকবাজ গোষ্ঠী তাই তারা একে অপরকে ঠকাচ্ছে এবং বিষয়টা একটা চক্রের মত অর্থাৎ প্রথমজন ঠকাচ্ছে আছে দ্বিতীয় জনকে। দ্বিতীয়জন ঠকাচ্ছে তৃতীয় জনকে। তৃতীয় জন ঠকাচ্ছে চতুর্থ জনকে। চতুর্থ জন ঠকাচ্ছে পঞ্চম জনকে। পঞ্চমজন ঠকাচ্ছে ষষ্ঠ জনকে। ষষ্ঠ জন ঠকাচ্ছে সপ্তম জনকে। সপ্তম জন ঠকাচ্ছে অষ্টম জনকে। অষ্টম জন ঠকাচ্ছে নবম জনকে । নবম জন ঠকাচ্ছে দশম জনকে। আবার এরই ধারাবাহিকতায় একই কায়দায় দশমজন ঠকাচ্ছে প্রথম জনকে।
সুতরাং শেষ পর্যন্ত প্রথম জনকে ও ঠিকই ঠকতে হয়েছে।
অর্থাৎ ঠক চক্র খুবই একটি খারাপ চক্র । এই চক্র থেকে বেরিয়ে যেতে পারলে পুরো দেশটাই দূষিত হয়ে যাবে কিংবা ইতোমধ্যেই দূষিত হয়ে গেছে।
কিন্তু অতি লোভী অসৎ মানুষের কারণে ঠক চক্র থেকে বাংলাদেশের জনগণ কখনোই বের হয়ে আসতে পারবে না।
আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নেই বললেই চলে। আমরা সব সময়ই অপরের অকল্যাণ কামনা করি।
তাই এই চক্র থেকে বের হওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
আফসোস।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২১