১ লা বৈশাখ আর ইলিশ! দুটোই বর্তমানে হটকেক!! ১৬০০০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে, ১০০০০ টাকা কেজি....... টিভি মিডিয়া,ফেসবুক, অনলাইন পেপার...... সব জায়গায়ই একই মাত!!! সাথে সমানে চলছে বাংগালীর চোদ্দগোস্ঠী উদ্ধার........ কেন ইলিশ ছাড়া ১ লা বৈশাখ হবে না? এত দাম দিয়ে কেন ইলিশ খেতে হবে??? চলছে.....
তো আজকে মাছ বাজারে গেলাম, অনেক দিন পর। অন্যান্য মাছ কিনছি, কিন্তু ভুলেও ইলিশের দিকে তাকাচ্ছিনা(!), কখন আবার বিক্রেতা ১০০০০ টাকা কেজি বলে বসেন , আর আমিও চক্ষু লজ্জার ভয়ে হ্যা বলে ফেলি! তবুও মন কি মানে , চোখ ইলিশের দিকেই যাচ্ছে...... অবশেষে যা হবার তাই হলো, মাছ বিক্রেতা "স্যার ইলিশ নিয়ে যান" বলে ডাক দিয়েই ফেললো, আর আমিও ........... দাম জিজ্ঞেস করার কোন চান্স না দিয়েই দু পিস ব্যাগে চালান করে দিলো। আমতা আমতা করে বললাম একটা দাও, বিক্রেতা নাছোড়বান্দা , না দুটোই নিতে হবে, ওজন একেকেটা প্রায় ১ কেজি, আমি ঘামছি, ২০০০০ টাকা দিয়ে দুই কেজি ইলিশ.........
আমি তো আর সরকারী আমলা নই, যে সকালে অফিসে গেলেই ৫০০০০ টাকার একটা খাম পেয়ে যাব, বিজনেস করি, তাও নিতান্তই চুনোপুটি টাইপের ........ সুতরাং আমার ঘাম বেড়েই চলছে ..........
তবুও সাহস করে বললাম, দাম কত দিতে হবে? স্যার , দাম একদম কম, আর আফনে রেগুলার কাস্টমার, বেশী চামুনা, দিয়ে দেন। আমি এখন কি বলবো আর কতই দিমু , মনে মনে ভাবছি, ৫০০০ টাকার বেশী দিমুনা, আবার লজ্জাও পাচ্ছি এত কম কি করে দেই ( ১০০০০ টাকা কেজি আর ১৬০০০ টাকা পিস মাথায় ঘুর ঘুর করছে) ।
তবুও শেষমেশ বললাম, দামটা অন্তত বলো, আমি দাম জানিনা ( পুরাই মিথ্যা কথা, ফেসবুক আর অনলাইনের কল্যানে আমি দাম ঠিকই জানি!!!)
মাছ বিক্রেতা একটা চওড়া হাসি দিয়ে বললো, "স্যার দুটো ২২০০ টাকা দাম হয়, তয় আফনে ২১০০ টাকা দিলেই চলবে"
আমি মুখ হা করে তার দিকে তাকিয়ে আছে, বেটা কি বলে ? একুশ হাজারের জায়গায় ২১০০ বলছে, নাকি আমি ভুল শুনছি?
যাক , ফাইনালি ২১০০ টাকা দিয়েই এক জোড়া ইলিশ নিয়ে এলাম।
ভাবছি, মাছ বিক্রেতা কত বোকা। ফেসবুক , অনলাইন কিচ্ছু বুঝেনা, নইলে ২১০০০ টাকার মাছ ২১০০ টাকায় দিয়ে দেয়!!!
নাকি আমরাই বোকার হদ্দ, যাচাই বাছাই না করেই শিয়ালের মতো হিক্কা হুয়া আওয়াজ তুলি , তিলকে তাল বানাতে সত্যি আমাদের কোন জুড়ি নেই।
হ্যা, আসলেই আমরা বাংগালী, মানুষ নই!!!
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।