আমাদের দেশের লেখকদের মধ্যে যাদের লেখা আমার
ভালো লাগে তাদের মধ্যে আপনি একজন।ছোট থেকেই
আপনার প্রতি একধরনের আকৃষ্ট ছিলাম।
২০১৩ সালের ৫ ফেব্রয়ারী গনজাগরন মঞ্চের প্রথম
সমাবেশে একজন আমজনতা হয়ে জাতীয় পতাকা হাতে
আপনার পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছিল আমার।তারপর
বইমেলা-১৪ এর ১৪ই ফেব্রয়ারীতে আপনার হাত থেকে
"আমারও একটা প্রেম কাহিনী আছে" বইটা নিতে পেরে
উচ্ছাসে ফেটে পড়েছিলাম।বইটার প্রচারনার কৌশল
হিসেবে ফেসবুককে বিশেষ ভাবে ব্যাবহার করেছিলেন।
ভাবিকে ঘিরে লেখা গুলো ভালোই পোষ্ট করেছিলেন।
আপনার ফেসবুক পেজের শুরু থেকেই আমি একজন নিয়মিত
পাঠক বা লাইকার ছিলাম।যাইহোক এবছর মেরিল-
প্রথমআলো পুরস্কারের আগের দিন আপনি একটা সময়
নির্ধারন করে আমন্ত্রনপত্র ফেসবুকের পোষ্ট
করেছিলেন।
আমন্ত্রনপত্রের ভাষা নিয়ে আপনার পাঠকদের মধ্যে
মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল।আপনার মতো একজন
প্রিয় মানুষের কাছে এমন ভাষায় লেখা দেখে আমিও
হতাশ হয়ে একটি মন্তব্য করেছিলাম।অনেকেই বাজে
ভাষায় মন্তব্য করেছিল কিন্তু আমি নির্দ্বিধায় বলতে
পারি আমার মন্তব্যতে কোন বাজে ভাষা ছিলনা তবে
হতাশার কথা জানিয়ে ছিলাম।
যার ফলশ্রুতিতে দেখতে পেলাম আমি আপনার লেখা
মানে পোষ্টে লাইক/কমেন্টস করার অধিকার
হারিয়েছি।মানে আপনি আমাকে বল্ক মেরে দিয়েছেন
হয়তো অন্য যারা কমেন্টস করেছিল তাদেরকেও
করেছেন।আপনি তো একজন দেশ বরেণ্য লেখক।দেশের
প্রথম শ্রেণীর একটি পত্রিকার উপ-সম্পাদক।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন প্রতিটা লেখকই চায় পাঠকদের
হৃদয স্পর্শ করতে।পাঠকদের কাছে যেতে হয়তো আপনিও
চান।
নাকি আপনি এই চাওয়ার বিপরীত???
লেখকের লেখা পড়ে পাঠকের মনে নিজের অজান্তেই
লেখক কাছে অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়।লেখকের
সম্পর্কে একটা বড় মাপের ধারনা পাঠকের মনে তৈরি
হয়ে যায়।
এটা হয়তো আপনি জানেন,নাকি এটাও আপনি জানেন
না???
আমারও আপনার কাছে অনেক প্রত্যাশা থাকতো।
আপনার ওই আমন্ত্রনপত্রটি পড়ে আমিও সে প্রত্যাশার
জায়গায় চরম আঘাত পেয়েছিলাম বলে ওই পোষ্টের
সমালোচনা করার সাহস দেখিয়েছিলাম।তখনও জানতাম
না যে পাঠকদের দ্বারা আজকের খ্যাতি অর্জন
করেছেন সেই পাঠকদের কাছে যেতে আপনি ভয় পান।
তখনও জানতাম না আপনি আপনার লেখা ভালো না
লাগলেও সবসময় পাঠকের মুখে ভালো শুনে অভ্যস্ত।
সমাজের একজন পথপ্রদর্শক হয়ে আপনি কিভাবে এসব
নেতিবাচক ধারনা মনে জায়গা দিতে পারেন।
একজন দেশ বরেণ্য লেখক হয়ে যদি আপনি পাঠকের
সমালোচনাই হজম করতে না পারেন তাহলে আপনি কেমন
লেখক হলেন???
আপনি একটু কষ্ট করে আমাদের জাফর ইকবাল স্যারের
দিকে তাকালে দেখতে পাবেন প্রতিনিয়ত অনেক বড় বড়
ইস্যুতে উনি সমালোচিত হচ্ছেন।
জাফর স্যার বরাবরই সেসব নিরবেই সহ্য করে যাচ্ছেন।
পরবর্তীতে লেখাতেই তার জবাবও দিচ্ছেন।সমালোচনা
বন্ধ করার জন্য তিনি কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি
করেননি।
সত্যিকারের চেতনাবানরা এমনই হয়।
আপনি হয়তো মনের দিক দিয়ে সে জায়গায় যেতে
পারেননি।তাই এতো বিরুপ মনোভাব প্রকাশ করতে
পারছেন।
দোয়া করি যেন আপনি এমন নেতিবাচক ব্যাবহার মন
থেকে দুর করার সামর্থ্য অর্জন করতে পারেন।
অনেকটা আক্ষেপ থেকে লিখলাম বেয়াদবি মাফ
করবেন নিজ গুনে।
https://m.facebook.com/shuvo.bhoumik.5
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩