somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিখিল আমার ভাই/জীবন আমার বোন

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সমাজতন্ত্র। যার মূলকথা হলো দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ। দ্বন্দ্ব সন্দেহ নেই, কিন্তু বস্তুবাদ? যদি পজিটিভ বিজ্ঞানকে মেনে না নেই তবে বস্তুবাদ টেকে না। কার্যকারণবাদ টেকে না। কিন্তু দ্বান্দ্বিকতা টেকে, আর সেই সাথে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদও পার পেয়ে যায়। কিন্তু তখন সে প্রশ্নবিদ্ধ পাখির মতো। মানুষের কাছে জানার চাইতে অজানার পরিমাণ বেশি, দৃশ্যের চাইতে অদৃশ্যের, রহস্যের, তার ফাঁদে পড়ে তখন সে যা কিছুতে যা খুশিতে ভর করতে পারে। তার দোষ কি? তার মানে কারো কোনো দোষ নাই, কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। যাচ্ছি দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় আর পৌঁছতে চাচ্ছি আদর্শে, ধ্রুবতে। বলিহারি ব্যাপার! মানুষ কেনো মানুষ? তা কি কেবল বিবর্তনে? তাহলে মানুষের এতো বৈরিতা কেনো প্রকৃতির সাথে? মানুষ কেনো খোঁজে শয়তানে ভগবানে? নির্গুণ ব্রহ্মা সে অনির্বচনীয়, কিন্তু গুণবাচক ব্রহ্মা মানে ভগবান মানে ঈশ্বর সে যেন মানুষ স্বয়ং। ফেরেশতা জ্বিন দৈত্য অসুর আর কোনো কিছুই তার চেয়ে বড় নয়, তাই জানি আজ তক। তাহলে ব্যক্তি মানুষ, তার বেঁচে থাকা, কোথায়? আর নিজেকে সবচাইতে কম বুঝতে পারার, নিজের অপারগতার, নিজের কাছ থেকে পালানোর উত্তরই-বা কোথায়? অপরকেও তো চিনি না। আবার অপরকে ভালো লাগে না, আবার অপরকে নাকচও করতে পারি না। যৌন থেকে মৌন যে কোনো কিছুতে মানুষকে চাই। চাই গরু ছাগল ভেড়া এদেরকেও। তাদের পেটানো চাই। কেবল গরু গাধাকে না, মানুষকেও পেটানো চাই, খুন করা চাই, ধর্ষণ করা চাই, ক্ষমতার জন্য যুদ্ধ করা চাই, নির্বাচনে জেতা চাই, দামি গাড়ি বাড়ি ব্রা প্যান্টি চাই। ক্ষমতা অতঃপর ক্ষমতা তারপরও ক্ষমতা চাই। প্রতারণা চাই প্রতারিত হওয়া চাই। অত্যাচার চাই অত্যাচারিত হওয়া চাই। বিজ্ঞান দিয়ে চলে না, অধ্যাত্ম এসে হানা দেয় মাথার ভেতর, আবার বিজ্ঞানও চাই, কেবল বিজ্ঞান না, ফলিত বিজ্ঞান চাই, কেবল ফলিত না, প্রকৌশল চাই, কেবল প্রকৌশল না, প্রযুক্তি চাই, কেবল প্রযুক্তি না, তা আবার যাদের টাকাপয়সা কড়িকানা আছে তাদের কাছে পৌঁছানো চাই। তালে সৃষ্টি কোনটা? যেটা দেখে দেখে বানালাম নাকি যেটা কোনোদিন কেউ বানায় নাই, এমনকি নির্গুণ ব্রহ্মা যা বানান নাই, কিন্তু তিনি তো নির্গুণ মানে তার বিষয়ে তো কিছুই জানি না, তিনি কী বানান নাই তা কেমন করে বলবো? কই আদর্শ? কই নীতি? কিসের নিরপেক্ষতা? কিসের আমি? কিসের অহম? কেন অহম? কেন মায়া স্নেহ? কারে বলে স্বজ্ঞা প্রতিবর্ত? কারে বলে মন ভোগ সন্ন্যাস? কোনটা করলে কি হয়? পতিতা কই যাবে? প্রতিবন্ধী কই যাবে? হিজড়া কই যাবে? পাপী কই যাবে? কারে বলে পাপ? ফাঁসি দেয়া কাকে বলে? কে ক্ষুদিরাম? কেই-বা বাংলা ভাই? দাবি কাকে বলে? নামায পূজা হজ্ব কার জন্য? মিথ্যা সত্য সুন্দর কুৎসিত বিহারি বাঙালি মারাঠি মোঘল ইহুদী নাসারা কি? নিতম্ব যোনি লিঙ্গ এগুলা? বাৎসায়ন কে? শ্রীকৃষ্ণ কে, বন্ধু না মিত্র? চক্র? চড়কি? তারপর মৃত্যু? ওপার এপার? মৃত্যু কি মুক্তি প্রশান্তি? সুখ না শান্তি? শব্দ, সামর্থ্য না সীমাবদ্ধতা? সমকাম না কি বিষমকাম? অজাচার, বিকৃতি না কি ফ্রয়েডগিরি? সাম্য-শ্রেণিহীন সমাজ-শ্রেণী লড়াই, ভেলকি না কি সত্য? কে মোরে দখায়ে দেবে? মন্ত্রী না কি আমলা, ক্যান্টনমেন্ট না কি বস্তি? মাও না লেনিন? শিয়া না সুন্নী? বুদ্ধ না কি শঙ্কর? কে মোরে চিনায়ে দেবে? তারপরো নিখিল আমার ভাই/জীবন আমার বোন। তারপরো নিখিল আমাদের ভাই/জীবন আমাদের বোন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৪
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×