যাবতীয় শীত এক ফোয়ারার কাছে ভিড় জমালে
দখিনায় আর কোনো চাবুক ঝলকে ওঠে না নিরূপম
সমস্ত জোনাক গ্রামের রাতে ভোর জমায় আলেয়ার নিজস্ব
শরীরে যেন এক মুগ্ধ চেতনার কথা বলতে চায় বাতাবি সবুজ
চেনা মুখ অচেনা হয়ে গেলে ব্যাধি আর পাপের নরকে সমাসীন রয়
গতিময় গিরি হিমাদ্রি আর শিবের আস্ত লিঙ্গের সাধ কাম চাই অথচ
কামুকতা নয় সৌন্দর্য চাই সুন্দর নয় যেন এক ঘুণপোকা কেটে যায়
খেয়ে যায় শীতের ওম চাদর তোষক আর একান্ত নিজস্ব তর্পণ
নিজেকেই ভোলায় সুকন্যার আলতো টোল পড়া গালে ভালোবাসা
বলে ওরা নিরুত্তাপ নাকি শরীর ছাড়া? হয়তো। জোনাক জানে জোনাকি
জানে কী করে প্রাণের বিপরীতে জাগে হ্রস্ব দীর্ঘ সব শব্দ ধ্বনি সব গিয়ে
শেষ হয় অসীমে এ কথা নিশ্চিত তথাপি অসীমের আকার নিয়ে বিভ্রাট
তেমাকেই তাই মনে করি যুবতী মনে করি দেবী যেন এক অন্যায্য মহাজগত
করেছি নির্মাণ অথচ তাও ভেঙে গেল শেষে সময় আসে না ফিরে যে সময় যায়
কুয়োর জলে হারায় শীতলতা কবরের তলে যেনবা আকাশসমান কোনো
মুরতি যেন পায় তাকে দেবিকার শরীরে মাংসে আঁচলে সব সবুজ সবুজ নয়
সব রঙ ফিকে হয় সব নদীর পাড় ভেঙে পড়ে অমা নিশা আর এ যাবৎ কালে
যত অন্ধকার সবার মেরুতে সবার মরুতে শুধু তুমি আমার পাপ হয়ে জ্বলে থাকো চাঁদে নক্ষত্রে অন্তরীক্ষে জোনাকে আলেয়ায় আর আমার চিতা কেবলি
জ্বলে শ্মশানের সুমন্দ হাওয়ায় ঝড়ো তার দমকা হৃদয় অচ্ছুত তো নয়?