গুপ্তধনের মত আগলে রাখি আত্মায়
অনুচ্চারিত চিৎকার সমূহ,
বধির দেয়ালে কোন ফাটল
আমিও চাইনা-অন্য সকলের মত।
বিভৎসতম শকুনের তীক্ষ্ণ , ধারালাে নখর উঁচিয়ে-
প্রতারনা, ভন্ডামী, হিংসা, রিরংসা, ক্রুড়তা,
নির্যাতন, প্রবঞ্চনা, শোষন, কুপমন্ডুকতা,
ছিন্ন ভিন্ন মানবতা এবং আরও বিচ্ছিন্নতা
ঘনীভূত অন্ধকারের মত গিলে খাচ্ছে চরাচর।
উপরন্তু, ক্রমাগত অতিক্রম করছে নিজের সীমানা
নতুনতর উচ্চতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে কোন এক মহাকালের পুস্তকে
অমোঘ মাইলফলক রচনা করবে ;
সহস্রাব্দের প্রারম্ভিক প্রহরেই।
অক্ষম ক্ষোভ, হতাশা, ক্রোধ,
বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ-
ক্রম মিইয়ে যায়, নিস্তেজ ভেজা বারুদের স্তুপে ;
মনস্তাপও ঢুকে পড়ে সুযোগের জংগলে ,
শিড়দাঁড়ার শৈত্যপ্রবাহ ঢেকে রেখেছি পশমী কম্বলে।
এস, এখন আমরা চোখ রাখি বিজ্ঞাপনের রং এ,
ভেসে যাই প্রমোদ তরীতে,
এডভেঞ্চার খুঁজে পেতে অন্নপূর্ণা চূড়ার পথ ধরি
মৃত্যুমুখ সেখানেও খোলা; তাতে কি?
বিপন্নতার ধারাপাতেও সম্মানজনক
একক খুঁজে নিতে হয়।
তবু যেন কেউ কেউ অনুচ্চারিত চিৎকারসমূহ
কিছুটা জমা করছে গোপন অর্ন্তজালে।
নীরব প্রত্যাশার পলি জমে ওঠে অনিশ্চিত কাকে যেন ঘিরে-
সুফলা সময় এলে সে অথবা তারা
এর অর্ন্তলীন ভাষা ঠিক বুঝে নিয়ে
সোনামুখি সুঁই দিয়ে জুড়ে দেবে ছিন্নভিন্ন আকাশ জমিন,
অতঃপর নীল পর্বতের পথে পথে -
অবসন্ন পথিকের অভিকাঙ্খী দিকনির্দেশনা হবে।
-------------------
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৬