
শৈশবে লক্ষ্মন দাসের সার্কাস দেখতে গিয়ে
টানটান বসে থাকতাম,
অনড় , অপলক, রুদ্ধশ্বাস!
ছুঁড়ে দেওয়া নিষ্ঠুর ধারালো তলোয়ার
অগ্রাহ্য করে নিস্কম্প দাঁড়িয়ে থাকা তরুনের
সেই সাহস কিংবা আগুনের গোলা
অক্লেশে গিলে ফেলে দুহাতের ডানা ছড়িয়ে
অনাবিল হাসিমুখ অভিবাদন!
সেই কিশোরী, যে অনেক উঁচুতে
শূন্যে ঝুলে থাকা পলকা দড়ির ওপর
দৃঢ. পায়ে হেঁটে চলেছে একাকী,
আর ক্ষুদে বামনের
হৃদয়বিদারক সেইসব ভাঁড়ামো।
কী বিষ্ময়, কী বিষ্ময়!
তারপর কতদিন ধরে সেই ঘোর চলত…
বড় হতে হতে আবিস্কার করলাম -
কেউই কম যাই না তার থেকে-
প্রতিদিন বেঁচে থাকতে গিয়ে মানুষেরা যা করে
সেও জ্বলজ্যান্ত সার্কাসই বটে!
এই যদি আমার কথাই ধরি-
আগুনের গোলার মত
প্রতিদিন অক্লেশে গিলে ফেলছি কত কী ,
চারপাশ থেকে ছুটে আসা তলোয়ার থেকে
সবচে অপ্রস্তুত সময়েও দিব্যি
বাঁচিয়ে নিয়ে চলেছি নিজেকে,
যখন তখন ভাঁড়ামিও চলছে প্রচুর,
আর এই যে হেঁটে যাচ্ছি দৃপ্ত পায়ে
জীবনের মত বিপদজ্জনকভাবে
নড়বড়ে এক সুতোর উপর দিয়ে-
তার চেয়েও পলকা
সব বাঁধনকে আঁকড়ে ধরে-
এগুলো কী সেই সার্কাসই নয়?
---------------------
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




