একজন বিশ্বাস করেন যে, সৃষ্টিকর্তা একজন অাছেন।
কিন্তু তার সঠিক পরিচয় বা তার দেয়া বিধান খুঁজে পাচ্ছেন না!!
এই ব্যক্তিকে অাপনি কি বলবেন? অাস্তিক না নাস্তিক?
অাস্তিক বা নাস্তিক যাই হোক, কোরঅান যে অাল্লাহর বানী নয়-তার প্রমানে তিনি পান্ডিত্য দেখানোর চেষ্টা করছেন বেশ অাত্ববিশ্বাসের সাথে।
তো কোরঅান অস্বীকার করলে ইসলামে তার অবস্থানটা কোথায় যায় সেটা বা নাই বললাম।
উনাকে চিনেছেন নিশ্চই? "মি. বিবেক ও সত্য"।
অামার পক্ষ থেকে উনাকে যদি প্রশ্ন করি-
(১) কোরঅান যদি অাল্লাহর বানী না হয় তবে এর লেখক কে?
(২) যদি যুক্তি দেখান এটা মুহম্মাদ (সাঃ) লিখেছেন। তবে বলতেই হবে একজন নিরক্ষর ব্যক্তি( যার কোন শিক্ষক নাই এবং তিনি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যান নাই) কিভাবে এত বড় একখানা ব্যকরণ সম্মৃদ্ধ, ছন্দময় এবং চমৎকার দিকনির্দেশনা এবং ঘটনাবহুল গ্রন্থ রচনা করে ফেললেন?
যদি তিনি কোথাও থেকে কপি করে থাকেন তবে তার রেফােরন্স দিন।
(৩) প্রত্যেকটা ধর্মগ্রন্থ পরিবর্তিত, সংশোধিত করা হয়েছে । কিন্তু কোরঅান সেই প্রথম থেকেই একটা অক্ষর পর্যন্ত পরিবর্তন হলো না কেন?
(৪) একমাত্র কোরঅান ছাড়া অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত করা সম্ভব নয় কেন? এর রহস্য কি? একটা ভিন্ন ভাষার গ্রন্থ হওয়ার সত্বেও এটা কিভাবে সম্ভব?
(৫) কোরঅান যখন নাযিল হয় তখন অারবী সাহিত্যের জয়জয়কার ছিলো অারব বিশ্বে। বড় মাপের অারবী কবি-সাহিত্যিক ছিলেন তৎকালীন সময়ে। অাল্লাপাক চ্যালেন্স জানালেন, একটি সূরা/একটি অায়াত রচনার জন্য। কিন্তু গলদঘর্ম হয়ে চরমভাবে তারা ব্যর্থ হল কেন?
মরিস বুখাইলী, ডেভিড কিটমোর, ইউসুফ স্টেইচ, মাইকেল হার্ট, লরেন ব্রাউনদের থেকে অাপনি উদাহরণ নিতে পারেন। মরিস বুখাইলী কিন্তু শুধুমাত্র কোরঅানের ভুল ধরার জন্য অারবী সাহিত্যের উপর ডক্টরেট ডিগ্রী নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ভুল ধরতে যেয়ে শেষমেষ ব্যর্থ হয়ে ইসলাম কবুল করলেন। মনে হয়, তার ভুল ধরা অাপনার ভুল ধরার থেকে অনেক নিম্নমানের তাই তিনি ভুল খুঁজে পাননি।
অাপনার সমস্যা হলো অাপনি যে ব্যপারগুলো নিয়ে কোরঅান সম্পর্কে এলোমেলো মন্তব্য করে যাচ্ছেন সেটা অবশ্যই অাপনার কোরঅান সম্পর্কে ভাসা-ভাসা জ্ঞানের প্রতিফলন।
অাপনাকে বলি, অাপনি তাফসিরে ইবনে কাসির এবং তাফহীমূল কোরঅান পড়ুন। অনেকটা পরিষ্কার ধারণা পাবেন।
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, অালেমদের মধ্যে ৭৩ দল হবে কেয়ামতের পূর্বে। সুতরাং এটা নিয়ে অাপনার মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
অাপনি কোন বইয়ে দেখলেন, "কলা" কয়েক প্রকারের। কিন্তু অাপনি জানেন না যে, এটা "শিল্পকলা" না খাওয়ার "কলা"।
এখন শুধু "কলা" লেখা দেখেই যদি সাগর কলা, বিচি কলা, চাম্পা কলা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন তবে তার জন্য পুস্তক দায়ী নয়।
যেহেতু, বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তা একজন অাছেন। সুতরাং জীবনবায়ু ফুরিয়ে যাওয়ার অাগে তাকে পাওয়ার চেষ্টা করা অবশ্যই জুরুরী নয় কি?
অাপনার বিবেক কি বলে?
ভাবতেই হবে-
অামরা কোরঅান অ-স্বীকার করিনা বরং মেনে চলার চেষ্টা করি।
ফলাফল= দুনিয়া এবং পরকাল দুই স্থানে সফলকাম ।
অাপনি কোরঅান অস্বীকারকারী।
ফলাফল= দৃশ্যত দুনিয়ায় সফলকাম কিন্তু পরকাল জিরো।
তো, যুক্তি কি বলে?
দুইটা রক্ষা করা ভালো না একটা রক্ষা করা ভালো?
টিকাঃ অল্প জানা ব্যক্তিরা নাস্তিক হয় ( একাডেমিক জ্ঞান দিয়ে জ্ঞানের মাপকাঠি হয়না-"যোল অানা মিছে" কবিতা পড়ুন)। প্রকৃত জ্ঞানীরা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯