somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

বাংলাদেশ কি তালেবানী আফগানিস্তান হওয়ার পথে?? এদের ফেতনা থেকে কি আমাদের মুক্তি নেই?? মজিদদের থেকে সাবধান

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিষয় না লিখে পারছিনা। বাংলাদেশ কী আফগানিস্তানের পথে? তালেবান স্টাইলে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক তাদের ছাত্রদের দিয়ে পথ ঘাট মাঠ অবরুদ্ধ করে দেশকে কি ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ের শামছুল হুদা মওলানা আর লাল শালুর মজিদের মধ্যে কোন পর্থক্য দেখিনা। একজন কাশেম হুজুর যিনি খোৎবাও দিতে পারেনা ধার করে বাইরে থেকে খতিব এনে খোৎবা দেয়া লাগে। কোরআন পুরোটা মুখস্ত নেই। কতুটুকু মাসআলা তিনি জানেন তা তিনিই বলতে পারবেন। অথচ অহমিকায় তিনি আকাশ ছুয়েছেন। চরমোনাইয়ের মুরিদ সেজে তিনি সামান্য জ্ঞান দিয়ে পুরো বালিথা এলাকা লাল সালুতে পুড়তে চাইছেন। মজিদরা প্রভাব বিস্তারের জন্য অপর মজিদদের কাফের ফতোয়া দিতে পিছপা হন না।( নাউজুবিল্লা)। তেমনি শামসুল হুদা মাওলানা তাবলীগ ও মাওলানা সাদ কে কাফের বলতে ছাড়েন না। যদি তুলনায় যাওয়া যায় সাদ সাহেব এলেমের লাইনে যত বড় শামসুল হুদা তার নখের যোগ্য নন। এটা ভাবতে হবে ওলামা শুধু মাত্র বাংলাদেশে নেই সারা পৃথিবীতেই আছেন। মাওলানা ছাদ তাবীলগ জামাতের জিম্মাদার তথা আমির। বিশ্ব তাবলীগের যারা নিবেদিত প্রাণ কর্মী তারা মাওলানা সাদ সাহেব কে নন বিশ্ব আমীর কে মানেন। আর বিশ্ব আমির যতক্ষণ সাদ সাহেব আছেন তাকেই মানবেন। আজকে যদি পাকিস্তানের আব্দুল ওয়াহাব সাব তাবলীগের আমির হয়ে থাকেন তাকে সবাই মানবেন। এটা সামান্য বুঝার বিষয়। মানুষ ভুল বলতে পারে। করতে পারবে। মাওয়লানা সাদও মানুষ। কিন্তু একজন শামসুল হুদা যার চেহারা মজিদের মত মসজিদে যাকাতের টাকা ওঠান তার মাদ্রাসার জন্য, ফকিরের মত হাত পেতেই থাকেন মানুষের দান ছাড়া গতি নেই তবলীগের উদার মর্ম সেই টোকাই কি বুঝবে?

সাম্প্রতিক সময়ে টঙ্গী ইজতেমায় ৩ চিল্লার সাথীদের জোরে কেন মাওলানারা তাদের নাবালক ছাত্রদের দিয়ে মাঠ ভরিয়ে রাখবেন। এরা আসলে বেয়াড়া হয়ে গেছে। সেখানে শুধু তিন চিল্লা বা ১২০ দিন দেয়া মোবাল্লেগ ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষেধ। এটা চরম ধৃষ্টতা। এবং অসহনীয়।গন্ডগোল পাকানো ছাড়া কিছু নয়। ছাত্ররা লাঠি নিয়ে পিতার সমান দ্বীনের দায়ীদের বাধা দিয়েছে অবশেষে একজনকে ছুরিকাহত করে হত্যা করলে উত্তেজিত হয়ে তবলীগপন্থিদের লাঠির আঘাতে হতাহত হয়েছে। এমন নজির বিহীন ঘটনা এখন খুব সাধারণ এসব ওলামায়ে ছুঁ দের কারণে। দেশের প্রধান মন্ত্রী এটা কি ভাবছেন না!! কত বড় হুমকির মুখে স্বদেশ।

তালেবানী কায়দায় নয় শুধু প্রপাগান্ডামূলক বয়ান করছে এখন মসজিদের ইমাম উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে। তাদের চামড়ার টাকা দরকার, যাকাত ফেতরা দরকার। সেটাকায় মাদ্রাসা ছাত্রদের ললােটে ভালো খাবার জুটেনা তার নিজেদের পকেট ভর্তি করে পীর সেজে বসে থাকেন। যে তবলীগের লোক মানুষদের মসজিদে ডাকেন নামাজের জন্য, এক আল্লাহার উপর বিশ্বাস আনার জন্য, আমল করার জন্য তাদের চরমোনাই সাহেবের মুরিদ কাসেম হুজুর মসজিদ থেকে বেড় করে দেন একজন বকলম আলেম। এরা দেশটাকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। মসজিদ থেকে বাড়ি বাড়ি থেকে টাকা চাল উঠিয়ে এখন খাবারের রমরমা আয়োজন চলছে। অবৈধ পয়সা বৈধ পয়সা সব জড়ো করে মসজিদে বসে খাচ্ছেন। হারাম খেলে নাকি চল্লিশ দিনের ইবাদত নষ্ট। এভাবে মুুসল্লীদের হারাম খাইয়ে ঈমান আমলে ব্যাপক ক্ষতি করছেন। এরা ধর্মের শত্রু।

তেতুল শফিরাই একদিন ব্লগারদের নাস্তিক বলেছিলেন। তারা এখন তাবলীগ কর্মীদের নাস্তিক বলার মধ্য দিয়ে এটাই প্রমান করলেন এটা হলো তাদের বদমাইশি মানুষকে নাস্তিক বলে লালসালুদিয়ে সারাদেশকে আবৃত করার পায়তারা। অনেক ব্লগার ব্লগ ছেড়েছিলেন তাদের এই নাস্তিকতার তকমার ভয়ে। যে আল্লাহতে বিশ্বাস করে রসুল সাঃকে নবী হিসেবে মানে এবং তার সুন্নতের উপর চলে তকে নাস্তিক বলার চেয়ে বড়ো পাপ কি হতে পারে। এটা ক্ষমার অযোগ্য পাপ। এটা তালেবানী কায়দা। এটা নস্যাৎ করতে না পারলে দেশ আফগানিস্তান হবে । বলার অপেক্ষা রাখেনা।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ২৫ বছর আগের ঘটনা। যখন আলেমদের দাওয়াত দেয়া হতো তারা তবলীগের দোষ ধরতেন যে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল তথা রাজনীতি কেন করে না, তার জিহাদ কেন করে না তারা বিধর্মীদের কেন দাওয়াত দেয় না? সেই দৃষ্টি কোন থেকে বলছি তাদের ক্ষমতার মসনদের লোভ জেগেছে তারা গ্রাস করতে চায় আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা। যে তবলীগের কর্মী তিনি ইংরেজী শিক্ষিত হোক আর ওলামা হোক তারা নিজের পয়সা খরচ করে দেশে দেশের বাইরে ধর্ম প্রচার করে থাকেন। কতলোক মুসলমান হয়েছে কত মসজিদ বিদেশের মাটিতে এই মেহনতের মাধ্যমে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। তাদের প্রতিদ্বন্ডি আজ যারা ধর্ম বিক্রি করে খয়রাত করেন মানুষের কাছে হাত পেতে চলেন। তারা প্রকারান্তরে নিজেদের অতি নিম্নস্তরে নিয়ে এসেছেন। নিকৃস্টতম ব্যাক্তি হলেন নিকৃষ্টতম আলেম সাধারন মানুষ নয়। আজ তবলীগে খুন খারাপীর শুরু তাদের মাধ্যমে। এরা অচিরে বিধর্মী হত্যার নামে মানুষ হত্যা শুরু করতে পারেন।
যারা আল্লাহার দ্বীন প্রচার কারীকে কাফের বলেন যারা ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের প্রভু মানেন তারা স্বাক্ষাত শয়তান এতে কোন সন্দেহ নেই।

অধিকাংশ ওলামাদের পক্ষ নিবেন ঠিক আছে। সারা পৃথিবী জুড়ে ওলামা আছেন। তাদের ও বিবেচনায় নিতে হবে। মাওলানা জোবায়ের বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের হজরতজীর বয়ানের অনুবাদ করতেন। চমৎকার অনুবাদ করতেন। আমরা বিশ্বিত হয়ে শুনতাম। একঘন্টা টানা হিন্দি বয়ান তিনি একঘন্টা বাংলায় অনুবাদ করতেন। তার প্রতিভায় অনেকেই মুগ্ধ। কিন্তু যদি তাকে বিশ্ব আমির তবলীগে অযোগ্য ঘোষণা করেন তবে তিনি অযোগ্য এ্টাই সত্য। নিয়ম তাই বলে। তার অনুসারীরা আর তবলীগার নন!!! বিশ্বআমির পরিবর্তন হলেই কেবল মাও লানা সাদ সাহেবের কথা নয় নতুন আমিরের কথা মতো তবলীগ চলবে এটাই হক। অন্যথা নয়।

তবলীগ হানাহানি পছন্দ করে না। তবলীগ অনেক বড়ো নিবেদিত প্রাণ আলেমদের দ্বারা পরিচালিত। পাড়ার আলেমরা যোগ্যতায় তাদের তুলনায় কিছু নন। এমন কি অনেক ইরেজী শিক্ষিত লোক দ্বীনের মেহনত এবং মাসআলা শিখে আলেমদের চেয়ে বেশি জানলেওয়ালা মানলেওয়ালা হতে পারেন। কারণ মেধাবীদের শতকরা ৯৫ ভাগ ইংরেজী শিক্ষিত। আর যারা আরবী পড়েন তারা দরিদ্র বঞ্চিত লেখপড়ায় অমনোযোগী শ্রেণী। যারা গুটিকয়েক মেধাবী আছেন তারাও তাবলীগের সাথীদের সন্তান । এটাই সত্য কথা।

কথা হলো দেশ কি অবেশেষে তালেবানীদের খপ্পরে পরতে যাচ্ছে। দেশটা কি চরমনোনাইয়েরর পীরেরা আফগানিস্তান বানাতে চায়। তেতুল শফিরা কি এখন জান্নাত জাহান্নাম দাতা হয়ে গেছেন?? তারা যাকে বলবে সেই নাস্তিক। ব্লগাররা, তবলীগার রা। তাদের নিয়ন্ত্রনে আনা দরকার থামানোর এখনই সময়। এক আলেম আরেক আলেমকে কাফের বলেন হত্যার যোগ্য বলেন বহু আগে থেকেই। এখন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছেন। তারা অত্যন্ত ধার্মিক লোকটিকেও নাস্তিক বলছেন। তবলীগ করলে বউ তালাক হয়ে যায় মার্কা বানোয়াট ফতোয়া যারা দেয় তার শয়তানের দোসর বকধর্মিক তাদের বিতাড়িত করা দরকার।



সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রোএক্টিভিটি এবং কম্পাউন্ড ইফেক্ট: আমার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শিক্ষা

লিখেছেন মাহদী হাসান শিহাব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১



আমার গুরুত্বপূর্ন দুইটা লার্নিং শেয়ার করি। এই দুইটা টুল মাথায় রাখলে দৈনন্দিন কাজ করা অনেক সহজ হয়। টুল দুইটা কাজ করতে ও কাজ শেষ করতে ম্যাজিক হিসাবে কাজ করে।

এক.

স্টিফেন কোভের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

লিখেছেন সায়েমার ব্লগ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ
ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

১।
যৌন প্রাকৃতিক, জেন্ডার নয়।জেন্ডার মানুষের সৃষ্টি (social, cultural construction)। যৌনকে বিভিন্ন সমাজ বিভিন্ন সময়ে যেভাবে ডিল করে, তাঁকে ঘিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্মৃতির ঝলক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভূতি এবং মনের শান্তির খোঁজে

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০১



সরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে একটি ঘূর্ণায়মান পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর অবস্থানে আমি খুব শান্তি অনুভব করি। নদীর জল ছুঁয়ে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক আন্তরিক সংযোগ অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×