সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিষয় না লিখে পারছিনা। বাংলাদেশ কী আফগানিস্তানের পথে? তালেবান স্টাইলে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক তাদের ছাত্রদের দিয়ে পথ ঘাট মাঠ অবরুদ্ধ করে দেশকে কি ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ের শামছুল হুদা মওলানা আর লাল শালুর মজিদের মধ্যে কোন পর্থক্য দেখিনা। একজন কাশেম হুজুর যিনি খোৎবাও দিতে পারেনা ধার করে বাইরে থেকে খতিব এনে খোৎবা দেয়া লাগে। কোরআন পুরোটা মুখস্ত নেই। কতুটুকু মাসআলা তিনি জানেন তা তিনিই বলতে পারবেন। অথচ অহমিকায় তিনি আকাশ ছুয়েছেন। চরমোনাইয়ের মুরিদ সেজে তিনি সামান্য জ্ঞান দিয়ে পুরো বালিথা এলাকা লাল সালুতে পুড়তে চাইছেন। মজিদরা প্রভাব বিস্তারের জন্য অপর মজিদদের কাফের ফতোয়া দিতে পিছপা হন না।( নাউজুবিল্লা)। তেমনি শামসুল হুদা মাওলানা তাবলীগ ও মাওলানা সাদ কে কাফের বলতে ছাড়েন না। যদি তুলনায় যাওয়া যায় সাদ সাহেব এলেমের লাইনে যত বড় শামসুল হুদা তার নখের যোগ্য নন। এটা ভাবতে হবে ওলামা শুধু মাত্র বাংলাদেশে নেই সারা পৃথিবীতেই আছেন। মাওলানা ছাদ তাবীলগ জামাতের জিম্মাদার তথা আমির। বিশ্ব তাবলীগের যারা নিবেদিত প্রাণ কর্মী তারা মাওলানা সাদ সাহেব কে নন বিশ্ব আমীর কে মানেন। আর বিশ্ব আমির যতক্ষণ সাদ সাহেব আছেন তাকেই মানবেন। আজকে যদি পাকিস্তানের আব্দুল ওয়াহাব সাব তাবলীগের আমির হয়ে থাকেন তাকে সবাই মানবেন। এটা সামান্য বুঝার বিষয়। মানুষ ভুল বলতে পারে। করতে পারবে। মাওয়লানা সাদও মানুষ। কিন্তু একজন শামসুল হুদা যার চেহারা মজিদের মত মসজিদে যাকাতের টাকা ওঠান তার মাদ্রাসার জন্য, ফকিরের মত হাত পেতেই থাকেন মানুষের দান ছাড়া গতি নেই তবলীগের উদার মর্ম সেই টোকাই কি বুঝবে?
সাম্প্রতিক সময়ে টঙ্গী ইজতেমায় ৩ চিল্লার সাথীদের জোরে কেন মাওলানারা তাদের নাবালক ছাত্রদের দিয়ে মাঠ ভরিয়ে রাখবেন। এরা আসলে বেয়াড়া হয়ে গেছে। সেখানে শুধু তিন চিল্লা বা ১২০ দিন দেয়া মোবাল্লেগ ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষেধ। এটা চরম ধৃষ্টতা। এবং অসহনীয়।গন্ডগোল পাকানো ছাড়া কিছু নয়। ছাত্ররা লাঠি নিয়ে পিতার সমান দ্বীনের দায়ীদের বাধা দিয়েছে অবশেষে একজনকে ছুরিকাহত করে হত্যা করলে উত্তেজিত হয়ে তবলীগপন্থিদের লাঠির আঘাতে হতাহত হয়েছে। এমন নজির বিহীন ঘটনা এখন খুব সাধারণ এসব ওলামায়ে ছুঁ দের কারণে। দেশের প্রধান মন্ত্রী এটা কি ভাবছেন না!! কত বড় হুমকির মুখে স্বদেশ।
তালেবানী কায়দায় নয় শুধু প্রপাগান্ডামূলক বয়ান করছে এখন মসজিদের ইমাম উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে। তাদের চামড়ার টাকা দরকার, যাকাত ফেতরা দরকার। সেটাকায় মাদ্রাসা ছাত্রদের ললােটে ভালো খাবার জুটেনা তার নিজেদের পকেট ভর্তি করে পীর সেজে বসে থাকেন। যে তবলীগের লোক মানুষদের মসজিদে ডাকেন নামাজের জন্য, এক আল্লাহার উপর বিশ্বাস আনার জন্য, আমল করার জন্য তাদের চরমোনাই সাহেবের মুরিদ কাসেম হুজুর মসজিদ থেকে বেড় করে দেন একজন বকলম আলেম। এরা দেশটাকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। মসজিদ থেকে বাড়ি বাড়ি থেকে টাকা চাল উঠিয়ে এখন খাবারের রমরমা আয়োজন চলছে। অবৈধ পয়সা বৈধ পয়সা সব জড়ো করে মসজিদে বসে খাচ্ছেন। হারাম খেলে নাকি চল্লিশ দিনের ইবাদত নষ্ট। এভাবে মুুসল্লীদের হারাম খাইয়ে ঈমান আমলে ব্যাপক ক্ষতি করছেন। এরা ধর্মের শত্রু।
তেতুল শফিরাই একদিন ব্লগারদের নাস্তিক বলেছিলেন। তারা এখন তাবলীগ কর্মীদের নাস্তিক বলার মধ্য দিয়ে এটাই প্রমান করলেন এটা হলো তাদের বদমাইশি মানুষকে নাস্তিক বলে লালসালুদিয়ে সারাদেশকে আবৃত করার পায়তারা। অনেক ব্লগার ব্লগ ছেড়েছিলেন তাদের এই নাস্তিকতার তকমার ভয়ে। যে আল্লাহতে বিশ্বাস করে রসুল সাঃকে নবী হিসেবে মানে এবং তার সুন্নতের উপর চলে তকে নাস্তিক বলার চেয়ে বড়ো পাপ কি হতে পারে। এটা ক্ষমার অযোগ্য পাপ। এটা তালেবানী কায়দা। এটা নস্যাৎ করতে না পারলে দেশ আফগানিস্তান হবে । বলার অপেক্ষা রাখেনা।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ২৫ বছর আগের ঘটনা। যখন আলেমদের দাওয়াত দেয়া হতো তারা তবলীগের দোষ ধরতেন যে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল তথা রাজনীতি কেন করে না, তার জিহাদ কেন করে না তারা বিধর্মীদের কেন দাওয়াত দেয় না? সেই দৃষ্টি কোন থেকে বলছি তাদের ক্ষমতার মসনদের লোভ জেগেছে তারা গ্রাস করতে চায় আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা। যে তবলীগের কর্মী তিনি ইংরেজী শিক্ষিত হোক আর ওলামা হোক তারা নিজের পয়সা খরচ করে দেশে দেশের বাইরে ধর্ম প্রচার করে থাকেন। কতলোক মুসলমান হয়েছে কত মসজিদ বিদেশের মাটিতে এই মেহনতের মাধ্যমে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। তাদের প্রতিদ্বন্ডি আজ যারা ধর্ম বিক্রি করে খয়রাত করেন মানুষের কাছে হাত পেতে চলেন। তারা প্রকারান্তরে নিজেদের অতি নিম্নস্তরে নিয়ে এসেছেন। নিকৃস্টতম ব্যাক্তি হলেন নিকৃষ্টতম আলেম সাধারন মানুষ নয়। আজ তবলীগে খুন খারাপীর শুরু তাদের মাধ্যমে। এরা অচিরে বিধর্মী হত্যার নামে মানুষ হত্যা শুরু করতে পারেন।
যারা আল্লাহার দ্বীন প্রচার কারীকে কাফের বলেন যারা ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের প্রভু মানেন তারা স্বাক্ষাত শয়তান এতে কোন সন্দেহ নেই।
অধিকাংশ ওলামাদের পক্ষ নিবেন ঠিক আছে। সারা পৃথিবী জুড়ে ওলামা আছেন। তাদের ও বিবেচনায় নিতে হবে। মাওলানা জোবায়ের বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের হজরতজীর বয়ানের অনুবাদ করতেন। চমৎকার অনুবাদ করতেন। আমরা বিশ্বিত হয়ে শুনতাম। একঘন্টা টানা হিন্দি বয়ান তিনি একঘন্টা বাংলায় অনুবাদ করতেন। তার প্রতিভায় অনেকেই মুগ্ধ। কিন্তু যদি তাকে বিশ্ব আমির তবলীগে অযোগ্য ঘোষণা করেন তবে তিনি অযোগ্য এ্টাই সত্য। নিয়ম তাই বলে। তার অনুসারীরা আর তবলীগার নন!!! বিশ্বআমির পরিবর্তন হলেই কেবল মাও লানা সাদ সাহেবের কথা নয় নতুন আমিরের কথা মতো তবলীগ চলবে এটাই হক। অন্যথা নয়।
তবলীগ হানাহানি পছন্দ করে না। তবলীগ অনেক বড়ো নিবেদিত প্রাণ আলেমদের দ্বারা পরিচালিত। পাড়ার আলেমরা যোগ্যতায় তাদের তুলনায় কিছু নন। এমন কি অনেক ইরেজী শিক্ষিত লোক দ্বীনের মেহনত এবং মাসআলা শিখে আলেমদের চেয়ে বেশি জানলেওয়ালা মানলেওয়ালা হতে পারেন। কারণ মেধাবীদের শতকরা ৯৫ ভাগ ইংরেজী শিক্ষিত। আর যারা আরবী পড়েন তারা দরিদ্র বঞ্চিত লেখপড়ায় অমনোযোগী শ্রেণী। যারা গুটিকয়েক মেধাবী আছেন তারাও তাবলীগের সাথীদের সন্তান । এটাই সত্য কথা।
কথা হলো দেশ কি অবেশেষে তালেবানীদের খপ্পরে পরতে যাচ্ছে। দেশটা কি চরমনোনাইয়েরর পীরেরা আফগানিস্তান বানাতে চায়। তেতুল শফিরা কি এখন জান্নাত জাহান্নাম দাতা হয়ে গেছেন?? তারা যাকে বলবে সেই নাস্তিক। ব্লগাররা, তবলীগার রা। তাদের নিয়ন্ত্রনে আনা দরকার থামানোর এখনই সময়। এক আলেম আরেক আলেমকে কাফের বলেন হত্যার যোগ্য বলেন বহু আগে থেকেই। এখন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছেন। তারা অত্যন্ত ধার্মিক লোকটিকেও নাস্তিক বলছেন। তবলীগ করলে বউ তালাক হয়ে যায় মার্কা বানোয়াট ফতোয়া যারা দেয় তার শয়তানের দোসর বকধর্মিক তাদের বিতাড়িত করা দরকার।