যতো দূরে যাই
যতো দূরে যাই,
তুমি ততো অধিক— প্রকট হয়ে ওঠো;
আমি অধীরতরো হয়ে ওঠি— তোমার কামনায়
মনে হয় তোমাকে বলে দিই—
এই হৃদয়ের তীব্র আকূতি
খরস্রোতা নদীর মতো ভেঙে দিতে চায় সকল বাঁধা ।
বলা হয়ে ওঠেনা আর মুখ ফুঁটে কখনো তা
তুমি ঠিকই বুঝে ফেলো রংধনুর সাত রং এই বুকে; উঠেছে জ্বলোচ্ছ্বাস
তোমাকে ভিজিয়ে দেবে ভালোবাসার দ্রাক্ষাজলে।
প্রচ্ছন্নতা তুমি কখনোই ছিলে না
গভীর রাতের নির্জনতায় তুমি হয়ে ওঠো অতলান্তিক জল;
আমি তাতে সাঁতার কেটে তুলে আনি নীল পদ্মরাগ,
তোমার অনুপস্থিতি উপস্থিতির চেয়ে কম আততায়ি নয়!!
তুমি আমাকে ছুড়ে দিও—আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে যেন ফিরে না আসি আর!!
অথবা টেনে নিও তোমার বুকে যেখানে মৃগনাভীর সুঘ্রাণে
— বেদনার হয় সলিল সমাধি।
হায়! তুমি যদি ভালোবাসিতে না পারো!
জানি হৃদয় তোমার এক সুবিশাল আকাশ
তুমি বেছে নিও কি করণিয় তোমার আর কি করবে?
আমার ছোট্ট তরী ভাসাবে নাকি তোমার নদীর জলে...
অমর একুশে এসেছিলো
অমর একুশে এসেছিলো—
তাই রক্ত গোলাপ ফুটেছিল যেন তপ্ত মরুর খরায়!
অমর একুশে এসেছিলো—
তাই আমার ভাইয়ের পবিত্ররক্তে রঞ্জিত হয়েছিল
বাংলার মাটি
অমর একুশে এসেছিলো—
তাই দৃপ্ত শপথে জেগেছিল বাংলা বর্ণমালা
অমর একুশে এসেছিলো—
বলেই আরো প্রিয়ো হয়ে ওঠেছিল কিংবদন্তী
বাংলা বর্ণমালা; প্রিয়তমার মতই প্রিয়ো।
অব্যর্থ বাংলা বর্ণগুলো সাজিয়ে দিই কবিতা করে
প্রিয়তমা ছুটে আসে হৃদয়ের আকাশে
যেভাবে ভেসে আসে মেঘ শরতের আকাশে
সালাম বরকত রফিক তোমরা চিরঞ্জীবি হয়ে ওঠো
শহীদ মিনারে ফুলের প্লাবনে —সমুধুর বাংলা গানে
একুশ এসেছিলো বলেই আমরি বাংলাভাষা—
আজও বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে...
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮