জ ন্ম দি ন
আজকের এই দিন
ভীষণ রকম ঠান্ডা;
হিমেল হাওয়ার মিষ্টি আমেজে
তাই ভরে গেছে মনটা।
আজিকে কী তবে বিশেষ কোন দিন?
প্রখর রোদের চোখ রাঙানো নেই
ভ্যবসা গরমের—অস্বস্তি নেই
রোদে পুড়া কাব্যগুলো সযতনে
রেখেছি তুলে শিকেতেই।
আজ আমার জ ন্ম দি ন
আরাম কেদারায় গা এলিয়ে বসে থেকে
আনন্দলোকে শস্তির নিঃশ্বাস
ফেলার একটি দিন।
অনুভব
আমার মা থাকেন দূরে বাবাও ঠিক তাই;
এমন বিশেষ দিনে
মনের মানুষ—আমার কাছে নাই!!
দূরে থেকে সে কী কেবল
আমার কথাই ভাবছে?
মনে মনে সে কী কেবল
আমায় কাছে ডাকছে?
অভিযোগের বাগানে তার এতদিনে
হয়তো ফোঁটেছে লাল গোলাপ
তাইতো মুখে তার ঝরছে মধু শুধু
আজ বকছে না আর প্রলাপ ।
শুধু তোমাকেই
ঝড়ের রাত শেষ হয়েছে
রাত্রীশেষে ঝিরি ঝিরি হিমেল হাওয়া
বেশ লেগেছে; আজিকে ভোরে
আগের মতো অশ্বস্তির ক্ষণটি যে আর নেই!
এমন ক্ষণে আনমনে— ভাবছি বসে
শুধু তোমাকেই।।
প্রশ্ন করি কাটলো কেমন ঝড়ের রাতি?
বেদনা কী ছিলো সাথি?
নাকি ছিলো নির্জনতা..
কেউ ছিলো কী? কেউ না থাকুক
কামনার ঝড় ছিলো কী তোমার বুকে?
আমি না হই কেউ কী ছিলো—ভালোবাসার সংকরণে..
কেউ কী ছিল তোমার মনে—জন্মেছিলো যে এই দিনে
মনের বনে একটি ডাহুক
দূরে থেকেই ডেকেছিল খুব
বোধহয় খেয়াল করোনি
হয়তো তার ধার ধারনি।
কি আসে যায়—একটি শালিক
দিবারাতি করে যদি ডাকাডাকি;
তাই কায়দা করে তারে দূরে রাখা
রংতুলিতে ছবি আঁকা
স্বার্থপরের মতো একা— বেঁচে থাকা!
পৃথিবীটা তবে এমনই হায়
হয়তো বুকে তাতে প্রশান্তি মেলে
এইতো রীতি—ঝড় শেষে অবনীর বুকে
ছুমছাম নিরবতা;
তেমনি ঠিক —হারিয়ে ফেলেছি দিগ্বিদিক
আজও খুঁজি তারে—হৃদয়টা যেন আজ
দিকভ্রান্ত ক্লান্ত পথিক, কোথায় আছে
ধ্রুবতারা? তন্য তন্য করে খোঁজে ফিরি
শুধু তারে—আকাশ ভরা তারার মেলা
বসিয়েছে যেন চাঁদের হাট—জোনাক আলো
তিমির রাতে আশার আলো যেমন জ্বালে
তেমনি করে খুঁজি তারে—ভালোবাসার প্রদীপ জ্বেলে।
আজিকে দিনে রবির কিরণ
ভালোবাসার আবির দিয়েছে মেখে
নীল আকাশের বুকে চাতক চোখে।
ঝড়ের রাতি শেষ তো হলো
বুকে তোমার কামনার ঝড়,
তার কী হলো? তার কী হবে?
একান্ত অনুভবে ; নাকি এবার ভরাডুবি হবে
আমার প্রেমে সংগোপনে!
ওগো রূপকথার রূপে হৃদয়পরি
তুমিতো প্রেম যমুনা—অথৈ সাগর
প্রেমের নেশায় আমি তাতে ডুইবা মরি..
জন্ম ও প্রেম
কেমন করে এসেছিলাম—এ অবনীর পরে
আমার জানা নেই, যুগ যুগ ধরে
তোমার প্রেমের নেশায় যেন রয়েছি বুদ
মনের অজান্তেই;
শুনো বলছি কথা সেই..
দু'চোখ মুদিয়া আনমনে
খুঁজেছি তোমায় কতো!
গুনিয়া গুনিয়া তার হইবেনা শেষ
নক্ষত্রের রাতে— অগনিত তারার মতো।
এই যে এখন—এ মন তুলিছে পেখম
তোমার সঙ্গে করিতে সহবাস;
তুমি রহিলে চিরো অধরা
দূরে থেকে থেকে করছো উপহাস।
কার সঙ্গে রচিবে দোসর
—ভালোবাসার অতন্দ্র প্রহর
কার সঙ্গে বলো?
অজস্র কবিতার মিছিল দেখো দিতেছে শ্লোগান
তার কি হবে বলো?
রঙ্গমঞ্চের খেলাঘরে —কিসের ম্যুহে পরে
কেবল ব্যবধান কাব্য গড়ো
ভেবে ভেবে তাই এই দুই আঁখি ছলো ছলো
যেন বর্ষার জল নদীর দুকূল উপচিয়া পড়ে—তাতে।
তবু বলি ভালোবাসার অগ্রযাত্রা
কেহ পারে না আটকাতে।
এবার হোক জয় —শত বাঁধার হিমালয়।।
অভিযোগ
মিথ্যা অনুযোগে কাটিয়ে অর্ধযুগ
কি লাভ তোমার হলো?—
তোমার কাছে তা আমার অভিযোগ।
আমিতো যাইনি সরে দূরে
পারিযায়ি পাখির মতন করে
তুমিই দিয়েছো ঠেলে দূরে
আমিতো তুমিবৃক্ষে পরগাছা লতার মতো
পরম মমতায় রয়েছি জড়িয়ে —অর্ধযুগ ধরে..
(রচনা কাল ২৫/০৫/২০১৯)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬