প্রিয়ংবদা, এইখানে আসছো না যে
প্রিয়ংবদা,
এইখানে আসছো না যে আর!
ব্লগাকাশে পাখির কলরবে— ভাসছোনা কেনো আর?
মেঘ থেকে বৃষ্টির ছন্দ এনে,
ফুল থেকে গন্ধ এনে, পাখির চঞ্চু থেকে কাকলী এনে
কোলাহল মুখর ক্ষণ রচনার ব্রত নিয়ে—
তুমি কি হারালে তবে—দূর অজানায়?
গ্রীষ্মের দাবদাহে অতীষ্ঠ— এই জীবন
এমন সময়, এক পশলা বৃষ্টি হয়ে তুমিও পাশে নাই
মনে হয় চলেছি পথ একা তাই—
গড়েছি আবাস যেন তপ্ত মরুর বুকে; অকূল দরিয়ায়
যেন মরুর মরিচিকা— ভালোবাসা ক্ষণে ক্ষণে
মরছে যেথা— প্রিয়াহারার শোকে ..
দুঃখাগাঁথা কহিছে কেবল দু’চোখ বাহিয়া বহিছে অশ্রুজল
যেন শোকনদী বহিছে শুধু— তোমার কামনায়,
তুমি আসলেই চন্দ্রিমা রাত; তুমি আসলেই আনন্দ নদী;
তুমি আসলেই খুশির ফুয়ারা;—
হায়! কাছে এসে পাশে বসে বাসিতে ভালো যদি।
আঙুলে আঙুলে ঝড় তুলে— অযাচিত ঘূর্ণিবাত
যেতাম আমি ভুলে..এই মন আমার হারিয়ে যেত
তোমার ঘন দীঘল কালো চুলে।
তোমার হাসি যেন এক ফালি চাঁদ— রুপোলি আলোর ঝিলিক
যেন ভেসে থাকা বালি হাঁস— পদ্মফোঁটা জলে...
চলুন সাহায্যের দু’হাত বাড়াই
ঐ যে পথশিশু পথের ধারে
হাত পেতে দাঁড়িয়ে নির্বিকার
অন্ন –বস্ত্র- বাসস্থান- শিক্ষালাভে
তাদেরও আছে অধিকার,
মানুষের মতো করে বাঁচিবার
সুনাগরিক হয়ে তারাও বাড়াতে পারে
এদেশের সম্মান—আমরা যদি
মুক্ত হস্তে করি তাদের দান;
যাকাত ফেতরা ছদকার সদ্ব্যবহারে
একদিন তারাও হতে পারবে স্বাবলম্বি
কেবল ভোগ বিলাসিতায় মত্ত না থেকে
বিবেকের দ্বার যদি খুলে দিই— তাদের দিকে
তাতেই মিলিতে পারে পরিত্রান
চেতনার দীপ জ্বেলে চলো সবাই
— তাদের পাশে দাঁড়াই;
সাহায্যের দু’হাত বাড়াই—
মনে রেখো তারাতো মানুষ—
মানুষের উপর কোন মন্দির- ক্বাবা নাই।
অফিসে আসার পথে দেখলাম একটা ছোট্ট শিশু রাস্তার পাশে শুয়ে আছে একা। পাশে কেউ নেই। বয়স কত আর হবে। দুই বছর হতে পারে। হৃদয়টা মোচর দিয়ে ওঠলো। আহারে একটা ফুল যেন পড়ে আছে। কত সুন্দর অপাপবিদ্ধ সেই চেহারা। কতটা অনিরাপদ কতটা অসহায়। সেও তো মানুষ। তারও আছে মানুষের মত আদরে সোহাগে বড় হবার। আমাদের বিলাসিতা একটু না হয় কমই হলো। বিলাসিতার রেসে কিছুটা না হয় পিছনেই থাকি। তাদের জন্য কিছু তো করতে পারি। রমযান মাসে একটা ফরয আদায় করলে অন্য মাসের ৭০ গুন সওয়াব । দান করলেও। যাকাত দিলেও তেমন বেশি ফায়দা হবে। তাই বলি চলুন সবাই সাহায্যের দু’হাত বাড়াই । বিশেষ করে পথশিশুদের জন্য কিছু একটাতো করি। শুধু আমার সন্তান নয় সকল মানব শিশু যাতে থাকে দুধে ভাতে। তারা সবাই স্রষ্টার সৃষ্টি। স্রষ্টা আমাদের যেমন ভালোবাসেন ।তেমনি তাদেরও ভালোবাসেন।
উৎসর্গঃ শায়মা হক ও অন্যরা যারা শিশুদের গড়ে তোলার কাজ অতীব আনন্দের সঙ্গে করে থাকেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪