somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

শুভকামনা , জাগরণিসংশয়

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুভকামনা
ঈর্ষা নয় ভালোলাগা হোক
ঘৃণা নয় হোক— অমোঘ ভালোবাসা,
প্রতিশোধ পরায়ণ না হয়ে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি হোক
—অতৃপ্তি ঠেলে দূরে, ছেড়ে সকল লোভ লালসা।
সততার প্রদীপ জ্বেলে কর্মমন্ত্রবলে চলো সুনিশ্চিৎ করি
অপার সম্ভাবনার দ্বার— শান্তিপূর্ণ এক জীবন,
চলো সকলে মিলে সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ গড়ি, তবেই স্বার্থক হবে,
বায়ান্ন
একাত্তর
মুক্তিযুদ্ধ
শত শত আত্নবলিদান ।
সাফল্যের শেকড় থেকে শেখরে পৌছে তবেই হোক তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা
আত্নশুদ্ধির মন্ত্রযপে চলবে আমাদের অগ্রযাত্রা, পিছপা হবো না আর
এভাবেই চলো সুনিশ্চিৎ করি আমাদের বিজয় অভিযান,
বাঁধ ভাঙার আওয়াজে করিতেছি সেই আহবান
আমাদের হবে জয়— নিশ্চয়
যতক্ষণ এ দেহে প্রাণ আছে জেনে রেখো প্রত্যাশার আলো আছে সমুখে..


বিঃদ্রঃ প্রফেসর কাজি মতিন আহমেদ স্যার ডোগা'র ওয়েব পেজ এ সকল সদস্যদের জন্য নববর্ষ বার্তা দিয়েছেন। সেটা অবলম্বনে কবিতার শুরুটা তারপর কবিতাকে স্বাধীনতা দিলাম যেখান খুশি সেখান যা ....কবিতা অমন হলো । একটু বলে নিই স্যার একজন স্বপ্নবাজ আমাদের স্বপ্ন দেখান অবশ্য স্যারের অবস্থান স্বপ্নের মতই আর্সেনিক নিয়ে কাজ করে তিনি পৃথিবীর সেরা স্বীকৃত ৬ জন লিজেন্ডের একজন । এটা আমার ছাত্র বেলার অবস্থা । কুড়ি বছর বাদে তিনি নিজেকেই ক্রমাগত ছাড়িয়ে গেছেন। স্যারের কল্যাণে অনেক ছাত্রই প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। অথচ স্যার নিজেকে জাহির করতে চান না। কেন যেন নিরবেই কাজ করে যান। স্যারের কয়েক শ মিনারেলের নাম মুখস্ত ব্যাপারটা অবাক করতো আমাদের । স্যারের আবার সব ছাত্রের নাম মুখস্ত কতোটা বিস্ময়কর । ব্যাচ ধরে ধরে নাম বলে দেবেন । অদ্ভুত স্মরণশক্তি স্যারের । স্যার সিংহ হৃদয় মানুষ । স্যারের সাহসী ভূমিকা কিংবদন্তী তুল্য।

জাগরণি
এই যে শীত তা তো ক্ষণিকের
যথা সময়ে ফুরিয়ে বসন্ত আসে,
প্রকৃতি যেন শীতনিদ্রা থেকে জেগে ওঠে
কামনার বসন্ত জড়িয়ে গায়ে;
অদ্ভুত সুন্দর যেন রংধনু রং ছড়িয়ে দু’চোখে,
যেন এক মহেন্দ্র ক্ষণ,
যেন প্রকৃতির উদাত্ত আহবান প্রেমে।
তুমি তো নও জড়ো— অনন্ত নির্জীবিতায়
তাই বলি প্রবাহিত নদী হও অরণ্যে পাহাড়ে
ঘন সবুজের অসমতল বুক চিড়ে
মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে ওঠো মনাকাশে
উড়ে যাও দূরে সরে যাও বন্দী প্রাসাদ ভেঙে দূরন্ত বিপ্লবে।
সুপ্ত চ্যুতির মাঝে শক্তি জমে জমে যেমন
একদিন পুঞ্জিভূত শক্তি প্রচন্ড ভূমিকম্বনে বের হয়ে আসে
তুমিও জানিয়ে দাও ওগো প্রচণ্ড নিনাদে আমাদের দুজনার
মাঝে শাশ্বত প্রেম আছে
কতজনের অনাহারে কেটে গেছে দিন
কতজনে নিদ্রাহীনতায় তাতে সময়ের কী?
তবু সময়তো থেমে থাকেনি
বর্ষ ফুরিয়ে গেছে , সময় নির্মম কঠিন
তবু খেল তামাশায় কতলোকে কাটিয়েছে ক্ষণ
যেন এক আনন্দলোকে
এভাবেই হয়তো সবার অগোচরে অমিত সুখ সম্ভাবনা হয়ে যায় লীন।
উদ্বেগ উৎকন্ঠা তোমাকে না পেয়ে বিষন্ন চাতক মনটা
তবু চলে গেছে ক্ষণ —হতাশা বুকে নিয়ে
অবশেষে এসেছে নববর্ষ নব বার্তা নিয়ে
সম্ভাবনার এক পৃথিবী গড়তে হবে
এই প্রত্যয়ে—সময় ‍ছুটে চলে ক্লান্তিহীন,
তুমি না হয় ভূমিকম্পের মত— হও প্রকাশিত
ঈর্ষাকাতর সব চোখে ধূলি দিয়ে
ভালবাসার বার্তা পৌঁছে দাও ‍ছুটে আসো আমার এই বুকে।
ওগো দূর-নক্ষত্র হয়ে থেকো না আর,
থেকো না আর সর্বংসহা পৃথিবীর মতো নিশ্চুপ।
কিংবদন্তীর প্রেম আহবানে দেখো কত ঈর্ষাকাতর চোখ মিথ্যে ঠোঁট
বিদ্বেষ ছড়িয়ে — তুমি শুধু বলে দাও আমি কী নই
জাগরণি পরশ তোমার যৌবনে— যার পরশে দূরন্ত মানবিকা
তুমি, হয়ে ওঠা রমনী অনন্ত যৌবনে কামিনী। তাই বলি ঝেড়ে ফেল জড়তা
ওগো বিকশিত হও প্রস্ফুটিত ফুল হও মৃগনাভীর সুঘ্রাণে
গেয়ে ওঠো রবীন্দ্র গান ‘‘আমারও পরাণ..” অভিসার সাধনায়।
জেগে ওঠো ওগো লজ্জাবতি লতা এবার বলে দাও
অপার মহানুভবতা লয়ে বুকে পুষ্পরেণু গন্ধ মেখে
ওগো মোর প্রিয়তমা হৃদয় সঁপেছি শুধু তোমারে
পিছপা হয়ো না আর আসুক টর্নেডো ঘূর্ণিঝড়
আমাকে পাশে পাবে দৃঢ়তায় পৃথিবীটা যতই হোক স্বার্থপর
তুমি নিরবতা ভেঙে জেগে ওঠো যেমন শশি জেগে ওঠে পূর্নিমা রাতে
বলে দাও তুমি ওগো ভালোবাসো শুধু আমাকে ।


সংশয়

এ কেমন সূচনা হলো?
অফিসে একবার নয় দুইবার বিদ্যুৎ চলে গেল,
এই হলো বছরের প্রথম দিন
এটা কীসের আলামত কেন শীতে লোড শেডিং
দেশ কী তবে যাবেই রসাতলে
দূর্ভোগ পোহাতে হবে খুব —দেশের সকলে।
তবু মনে মনে করেছি প্রার্থনা
মহান স্রষ্টার তরে নব নব শুভ বার্তায়
সারাটি বছর যেন কাটে হাসি আর গানে
অশুভ সব ধ্বংস হোক শুভর আগমনে ।

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×