হাতের লেখায় যায় কী বুঝা?
মানুষ চেনা নয় অত সোজা!
বলো নিজেকে ক’জনে চেনে?
তুমি কী তোমাকে চেনো?
অন্যজনে চেনা সেতো আরো দূরোহ
তবু তোমার এই প্রচেষ্টায়— হাতের লেখায় মানুষ চেনায়
সুস্বাগতম; এ থেকে যায় বুঝা তুমিও জানতে চাও
এই আমাকে— হয়তো কবিতা পড়ে ..
চেনার পথটিতো খুঁজো —ধরি মাছ না ছুঁই পানি
বাস্তবে দুঃসাধ্য কাজ;
আমিও তোমাকে জানি শুধু তোমার সৃষ্টিতে সাধনায়
ভালোবাসার দৃষ্টি রেখে; তোমার কতগুণ,
কী তোমার প্রাণের চাওয়া ? কিসে তোমার অন্তর্দহন?
সেসব হতে গিয়ে আমার সে কী প্রাণান্ত প্রচেষ্টা
সেটা তো যায় বুঝা খুব সহজে ?
যৌথ প্রণোদনায় দু’জনার এই সুদীর্ঘ পথচলা
একসাথে এমনি করেই; এটাতো সবাই জানে
কল্পনার রাজ্য থেকে তাইতো কবিতা লিখে
প্রখর বাস্তবতায় এই মন শুধু তোমাকে চায় ইন্দ্রিয় স্পর্শে
এটাতো নয় ভুল কোন ।
শঠতার পথটি হতে পারে পাহাড়ি ঝর্ণার মতন
সুন্দর অতি মনোরম— তবু তা কাম্য যেন হয় না তোমার!
পথের ধূলোই আমার প্রিয়ো যদি তাতে থাকে সততা
যদি করিতে চাও পান—ভালোবাসার এক পেয়ালা জল,
এখান থেকেই নিতে পারো নিশ্চিন্তে যতটুকু তৃষ্ণা তোমার
জানো তো অসীমের নেই শেষ কোন আশঙ্কা নেই তাই শেষ হবার,
ভালোবেসে এই আমি যেন ধ্যাণমগ্ন এক সারস পাখি!
তোমার অভিসার প্রত্যাশায়;
এই হৃদয় যেন এক তৃষিত চাতক পাখি,
শুধু মাত্র বৃষ্টি জলে —অনন্ত কৌতুহলে,
যদি তুমি চিনে নিতে পারো,
কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে তবে তুমি পৌঁছে যাবে,
এখনতো সব ল্যাপটপে টাইপ করা,
তবু হাতের লেখা পড়তে হলে এবার কাছে আসতে হবে
কাগজে কলমের আঁচড়ে সুন্দর একটা কবিতা হবে
তুমি খুব করে চিনে নিও— এই হৃদয়ে লেখা নাম
হৃদপিণ্ডের হৃদকম্পন; হাতের লেখা পড়ে ..
উৎসর্গঃ লজ্জাবতী লতা
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৬