এবার তবে ছুটি
এবার যেতে হবে যে
সবাই যেভাবে যায় ঠিক সেভাবে।
এবার যেতে হবে অনুভূতির পাহাড়ে— অরণ্যে— সাগরে
এবার যেতে হবে নগর ছেড়ে— গ্রামে
যেখানে থাকেন আমার মা,
যে পথে চেয়ে থাকেন আমার প্রতীক্ষায়
যেখানে সরলতা বিশ্বাস মিশে থাকে
মানুষের চোখে মুখে সবুজে শ্যামলে।
এবার যেতে হবে গ্রামের পথে ফিরে
যেখানে সোঁদা মাটির গন্ধ
এবার তবে হবে আনন্দ ছুটি বিনোদনে
হতে পারে তা ক্ষণিকের—হোক
তবু নিত্যদিনের কাব্য চর্চায় পড়বে না ছেদ চিহ্ন কোন।
তুমিও সাথে যাবে মোর কবিতা চর্চায় মগজে মননে স্নায়ূতে অস্থি মজ্জায়
প্রতিটি নিশিথে জুনাকিরা আলো জ্বেলে দেবে
দিনের বেলা সঙ্গী হবে উদাসী পাখির কলতান
ছায়া দিবে বৃক্ষ তৃষিত অন্তরীক্ষে নাচিবে প্রজাপতি
যে গ্রামে নদী নেই গৌণ হয়ে গেছে
ক্রমাগত মানুষের অবহেলায় ।
হয়তো তোমার সাথে কথা হবে না কিছুদিন,
চোখে চোখ রেখে হয়তো দীর্ঘতর বিচ্ছেদ এ যে ক্ষনিকের
তবু তৃতীয় চক্ষু থাকে খোলা,
করোনায় লকডাউন ভেঙে গেলে কোথা
এখন আর সহসা ফেরা হয় না এই ব্লগে মিলন মেলায়..
এখনতো অনেকেই চলে যায় মরণে হয় চিরো প্রস্থান এই চরাচরে,
করোনা বিভীষিকায় প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে অক্সিজেনের অভাবে
আমরা কেউ মুক্ত নই কোভিড নাইনটিনের কড়াল গ্রাস থেকে।
হয়তো কেহ আসেনাকো ফিরে আর এইতো জগতের রীতি
তুমি তো অক্সিজেনতুল্য মম কাব্য সমগ্রে সুখবিতান
এবার তবে হবে ছুটি আনন্দ অনুভবে।
আমাদের হাসি খেলায় পড়বে দীর্ঘ ছেদ চিহ্ন যেখানে তারার মেলা রাশি রাশি।
এবার পাবে না আর বিরহভার জীবন যখন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা প্রতিরোধে করোনার সাড়াশি আক্রমনে
নগরী যখন এক মরণ উপত্যকা্ ।
মাত্রতো কটা দিন
তুমি দেখে নিও—
গ্রামে ফিরে গেলেও
ছুটি হবে না মম অন্তরতমা অবশেষে . দুজনার পঁই পঁই প্রেমে।
ভালোবাসা যে চলে নদীর মতো জলে আঁকাবাঁকা পথে নীরবে
নেই তার অবসর কোন্ ।
প্রেমের উত্তাপ
আগ্নেযগিরির লাভার মতো
বুকে যেন উত্তপ্ত ম্যাগমা হৃদপিণ্ড;
সযতনে রাখা আছে প্রিয়তম হৃদস্পন্দনসমুহ,
ঢাকা পড়ে আছে যেন আভরণে অরণ্যে পাহাড়ে
উদগীরণ হলে হবে হউক।
হয়তো অদ্ভুত শূণ্যতা ফাঁকা ফাঁকা কুসুম কুসুম প্রেমানুভূতি
মেকি শালীন পোষাকে মুড়ে থাকে ঢেকে যায় আবেগ অনুভূতি
পাছে কেহ কিছু যদি বলে— ভেবে।
এবার তবে আমাদের হবে ছুটি লোকচক্ষের আড়ালে
অন্তরালে প্রেমে তাড়িত যেন এক বিবাগি জীবন
আহত শালিকের মতো ডানা ঝাপটায় শুধু
আকড়ে ধরে প্রত্যাশার খড়কুটো
উড়েনা উন্মুক্ত অনন্ত আকাশে।
আহত শালিকের ডানায় হতে পারে সমব্যথি সবে।
একদিন ছুটি তুমি পাবে আনন্দ অনুভবে
ধরেছো কলম তোমার হাতে
এই লও কলম, সসম্ভ্রমে ডায়েরিতে লিখে ফেল
গ্রেফতারি পরোয়ানা অনন্ত প্রেমে বাহুবন্ধনে
একনিমিষেই তুমি পাবে বহু কাঙ্ক্ষিত অমূল্য যৌবন সুধা
কামনার দ্রাক্ষাজল তুমি লিখবে…
সেখান থেকে পাবে নাকো আর— নিস্তার
মরণের আগে . অপসরা লিখো হে কবিতা
অনুরাগে বিনয়ে—
আমাদের দুজনার পঁই পঁই প্রেম যেন অবিনশ্বর, নশ্বর এই চরাচরে
আষাঢ় শ্রাবন বৃষ্টির নূপুর পড়ে।
শত কর্মব্যস্ততা মাঝে তুমি ছুটি পাবে মিলনের,
বিরহেরতো অনুযোগের শেষ নেই
চলো দুজনে মিলে এঁকে দিই তাতে সুদীর্ঘ বিরাম চিহ্ন
যান্ত্রিক চারদেয়ালে বন্দী নগরজীবন থেকে।
দুঃখ গ্লানি করোনা জীবানু আঁচড়ে ঝেড়ে ফেলে দিবো
কিশোরির মাথা থেকে উঁকুনের মত অব্যর্থ চিরুনি দিয়ে
রাতের ভেতরে ঢুকে যাবে দিন গোধূলীর আলো মেখেে
আর আমি তোমার অনুভূতির ভেতর সম্ভাবনার . পথে
এবার তবে ছুটি হবে শ্রান্তির উষ্মালাগা ক্লান্ত রবির প্রস্থানে
রাত্রি নিশিথে ক্লান্তি হননের মিলনমন্ত্র জয়গানে..
উৎসর্গঃ সুপ্রিয় কবি শায়মা হক
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৬