somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

কার সনে কহো কথা ...

২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কার সনে কহো কথা শুনি?
কীসের এত ব্যস্ততা প্রতিদিনে,
তোমার? কঠোর এই লক ডাউনে
সবারই তো গৃহবন্দী দশা।

কী করো সারারাত জেগে থেকে একা?
কেন এতো নিরবতা?
শ্রাবণ মেঘের এই ক্ষণে ।

অসীম আকাশ দেখে দেখেতো
বিশাল হৃদয় নিয়ে
আনন্দে সময় পার হবারই কথা ।

সারাদিন সারারাত কেবল মেঘেদের উড়োউড়ি
যেন মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরি— খেলা।

শুধু অসীম আকাশটা বন্দী নয়
ঝিরিঝিরি বহে হাওয়া
উড়ে পাখি কিচির মিচির
যেন সদা ব্যস্ত তারা— আকাশে যেন পাখির মিছিল
স্বাধীনতা চাই! স্বাধীনতা চাই! সকল মানবের
লকডাউনে সকল গৃহবন্দীর।

শুধু মানুষের চোখে নেই ঘুম
দুঃস্বপ্নরা সতত তাড়িত করে
কোভিড নাইন্টিনের সাড়াশি আক্রমনে
ক্ষণে ক্ষণে রূপ তারা বদলায়
তোমার মতো করে
জ্ঞান বিজ্ঞান তাই হয়রান
কী করে জীবাণুদের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

স্বাস্থ্য বিধি পরিপালনে যেন ব্যর্থ স্বদেশ
জনতার অজ্ঞতা-অসেচতনতার ফাঁক গলে
ঢুকে যায় মরণঘাতি করোনা বহুরূপীয়া মানুষের মাঝে;
বিষধর সাপের মতো দংশনে করে ক্ষত বিক্ষত
বিপর্ষস্ত তাই যেন স্থবির পৃথিবীর অর্থনীতি
দূর্ভিক্ষ নেমে আসে যদি ভেবে,
শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস প্রায়
অলসতা কুড়ে কুড়ে খায় মৃতপ্রায় জনতা।

এভাবে কীভাবে যে বেঁচে থাকা?
কে দেবে আশ্বাস?
কে দেবে ভরসা?
প্রয়োজন জনসচেতনতা স্বাস্থ্য বিধি মেনে
মুখপট্টি বেঁধে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেখে।
চলছে সংকটকাল
তবু শঠ আর প্রবঞ্চকেরা ফায়দা লুটে নেয়
ঝোপ বুঝে কূপ মেরে স্বার্থ হাছিল করে কেটে পড়ে।

প্রিয়তমা,
তোমার আমার প্রেমে দিয়েছে যারা বাঁধা
দেখ আজ তারাও গৃহবন্দী— বিপন্ন মানবতা
চেয়ে দেখো ভেবে দেখো
তারাও লকডাউনে
করোনার সাথে করেছে সন্ধি
বেঁচে থাকার প্রচেষ্টায়
প্রলাপ বকে তারা—অজানা আশঙ্কায়
কবর শশ্মাণ থেকে মৃত্যুর ঘ্রাণ আসে..

তুমি+ আমি মিলে যেন সম্পূরক কাব্য
আমার যতটা . চাই তুমি যেন ততটাই নাব্য
খাট ভাঙা আদরে শ্রাবণ ভাদরে
চলো হই উদাসী দু’জনে প্রেমে
দূরে আর রেখো না
নিরেট মূর্খের প্রলাপে
বিভ্রান্তি মেলে শুধু মেলেনা যে প্রশান্তি।

এবার মাথা খাঁটাও কুচক্রী দূরে হটাও
এবার করো সুবিবেচনা তবে।
তোমার বুকে মৃগনাভীর গন্ধ শুঁকে
প্রেমে হবো মাতোয়ারা।

সৃষ্টি সুখের বৃষ্টির পরশ মেখে
এখনই নেমে পড়ো দাও সাঁড়া
মম প্রেমের উদাত্ত আহবানে
মঙ্গলদীপ জ্বেলে এই জীবনে—এসো গো এসো না
শ্রাবণ সন্ধ্যায় গভীর রাতে ভোরে ভর দুপুরে
বৃষ্টির নূপুর পড়ে।

দূরে করো সব অযাচিত জ্বালা যন্ত্রনা মম
কাছে এসো! আরও কাছে! আরও আরও…
বিনি সুতোয় গাঁথবো মালা
আমাকে ভলোবেসে দাও তুমি স্বর্গীয় সুখ
লহ মম প্রেম দ্রাক্ষাজল
সম্ভাবনার উদরে হে সুন্দরীতমা মম!
তব স্থান পদতলে নয় হে
আদরের চাদরে বাহুডোরে মম স্বপ্নসম।

তাই বলি এসো গো এসো কাছে
ফিসফিস হবে কথা
প্রগাঢ় উষ্ণ শ্বাস স্কন্ধে তোমার
সহস্র চুম্বনে ওষ্ঠ বক্ষ সুপ্তোত্থিত
উরু গ্রীবা কামনার আগুনে যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ
ভালোবাসার পারদ তাই আকাশচুম্বী
এভাবেই এসো গো এসো না এইখানে
প্রেমে হংসমিথুন হয়ে মোরা হবো যুগলবন্দী
চিরন্তন শাশ্বত এক প্রেমে
বাকি সবই যে মেকী
যেন শুধু মরূভূমি ধুধু শুভঙ্করের ফাঁকি
ঘুঘুদের পাতা ফাঁদে পা তুমি ফেলো না।

টালবাহানা চলে না নৌকো নদী খেলায়
জীবন কাফেলায়—কতদূর যে পথ বাকি
কতটা পথ যে হয়েছি পাড় কে জানে
নির্মম পৃথিবীর খেলাঘরে।
চলো না, চলো না, দুজনে হবো প্রেম বন্দনা
পরস্পর ভালোবেসে দুজনায় প্রগাঢ় অনুভবে।

কথা দাও! কথা নাও!
আমায় ফেলে যাবে না অন্যথা প্রেমে
কহিবে না কথা অন্য কাহারো সনে।

অপ্রগলভ প্রেমে—চিরভাস্বর থেকে
চলো গড়ি হে আবাস নিকুঞ্জবনে
তুমি+ আমি প্রেমের দোসর গড়ে।

মৃত্যুশাসিত ক্ষণিকের এই জীবনে
মরণেরও পরে তুমি+আমি দুজনে
থেকে যাবো একই সাথে
চলো না চলো না চলো গো করি তার শুভ সূচনা।

তুমি আমি এক পাখির দুটি ডানা
অসীমের আকাশের নীড়ে
উড়িবার তাই নেই যে মানা ।

তুমি+আমি মুক্ত বিহঙ্গ যেন
জীবন চলার পথে
বন্ধুর পথ দুস্তর পথ
প্রেমের উদাত্ত আহবানে সোনা পাখি
ডাকিগো তোমায়—একাগ্রচিত্তে
ঢিব ঢিব করে বুক
প্রেমের অনুষঙ্গে।

দৃষ্টি প্রদীপ জ্বেলে প্রত্যাশার ভেলায় চড়ে
প্রেমের তাজমহল গড়ে
চলো দুজনায় হই ওগো উদাসী
চলো হই মাতোয়ারা পাগলপারা প্রেমে অনন্ত সঙ্গমে…






ছবি বাটুকেভ মালয়েশিয়া নিজস্ব অ্যালবাম থেকে নিয়ে পাওয়ার পয়েন্টে ও পেইন্টে করা
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×