বাবার মৃত্যু গত বছর ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী
আছরের ওয়াক্তে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বর চরে
আল্লাহর রাস্তায় মসজিদের ভেতরে।
বাসায় মাস্ত্তুরাতের তালিম তখন শেষ
বাবা তখন মৃত্যশয্যায় — তাঁর জন্য
দুজন দাঁড়িয়েছে নামাযে একজন মোনাজাতে
একজন ছিল ক্বালেমা তালক্বিনে
আমরা সবাই তখন ঢাকায়,
যে যার কাজে ব্যস্ত সবাই
বউ বাবার বাড়ি;
এমন সময় মুঠোফোনে বার্তা এলো
আমার বাবা বেঁচে নেই, কোথায় হবে তাঁর কবর ?
মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো এমন কঠিন খবর।
সেদিন সবে মাত্র হলেম পিতৃহারা— দুচোখে বইলো শোকের নহর ।
ভালো হতো কুড়িগ্রামের নাগেশ্বর চরে
আল্লাহার রাস্তায় মৃত্যু হলে এটাই যে নিয়ম—
তবুও প্রাণ দিল না শায় তাতে,
আমার বাবার দামি লাশের সমাধি
হলো নিজ গ্রাম বালিথাতে— মোদের অনেক কাছে।
বাবার আমার যে — রাজ কপাল
তিনি দারুন সৌভাগ্যবান-পূণ্যবান,
তাই খতমে বিল খায়ের হলো তাঁর ।
বাবা পেলেন অবশেষে সবার শীর্ষস্থান।
এমন বাবার জন্য — আমরা সবাই ধন্য
এমন বাবার মরণে মোরা ছিলেম ভীষণ শোকার্ত।
বাবার জন্য অশ্রুঝরা— অনেক প্রার্থনা
হে পরওয়ার দেগার
জান্নাতুল আদন যেন সজ্জিত থাকে প্রতীক্ষায়
আমার বাবার জন্য,
বাবা হিসেবেও যে তিনিই ছিলেন সবার সেরা— অনবদ্য অনন্য ।
(বাবা মারা গেছেন গত বছর ১৪৪৪ হিজরী ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ৯ অক্টোবর ২০২২ খ্রি. ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ধরলে ২৮ সে্পেটম্বর। আর মাত্র চারদিন। একবছর কেটে গেলো প্রায়। সময় কত দ্রুত চলে যায়। এই এক বছর বাবাকে ভুলি নাই। বাবার স্মৃতি বাবার অবয়ব যে সদা ভাস্বর । বাবাকে আমি অনেক ভালোবাসি। বাবা যেন জান্নাত লাভ করেন । আল্লাহ জাল্লাহ শানহুর অনুগ্রহ লাভ করেন সতত সেই কামনা মনে ।)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৬