ষোলকোটি মানুষের জন্য
যারা যোগাড় করে অন্ন
তাদের কথা ভাবি
তাদেরও যে আছে দাবি
ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য ।
উজানে আন্তনদী সংযোগে
ও নিত্য নতুন বাঁধ বিনির্মাণে
বদলে যায় নদী প্রবাহ— বাড়ে যে দূর্গতি।
উত্তর বঙ্গের চাষীরা এখন ভীষণ সংকটে
সংকটে সব নদী।
সংকটে গোটা স্বদেশ- এই উপমহাদেশ
সতত তাই বিপন্ন প্রকৃতি; নদীর চলার পথে
কিংবা বৃষ্টিপাত জলবায়ুতে
পড়ছে তার বিরূপ প্রভাব।
যাদের কারণে আসছে নেমে
চরম দূর্গতি —ধিক্কার জানাই তাদের
তারা যে ধ্বংস ডেকে আনে মানব— সভ্যতার
তারা গড়ে মরণফাঁদ, ভূতাত্ত্বিক জ্ঞানের অভাবে
অবিবেচকের মতন, তার নির্মম পরিহাস
তারা হত্যা করছে নদী— তারা ধ্বংস করছে প্রকৃতি
এখনই যে সময়, ঘুরে দাঁড়াবার।
আমাদেরও আছে যে অধিকার
বেঁচে থাকার, পদ্মা—ব্রহ্মপুত্র —সুরমা— কুশিয়ারার..
ধিক্কার জানাই তাদের
যাদের কারণে আজ বিপন্ন— মানবজাতি।
এখনই যে সময় বদলে দাও! বদলে যাও!!
ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকুক
সঠিক ভূতাত্ত্বিক জ্ঞানের প্রয়োগে
নিজে বাঁচো— আমাদেরও বাঁচাও ।
বি: দ্র:
ব্লগার একজন নিরুদ্দেশ পথিকের করা পোস্ট নজর কেড়েছে। আমরা নদীগুলো মেরে ফেলছি। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ । আন্ত সীমান্ত নদীগুলো উভয় দেশের কল্যাণে নিবেদিত। প্রতিটি রাষ্ট্রের অধিকার রয়েছে তাতে। বেঙ্গল ডেল্টা নদী বাহিত পলি দিয়ে গঠিত আর এ অঞ্চলের চাষবাস নদীর উপর নির্ভর শীল। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে বরেন্দ্র অঞ্চলে নদী ভূগর্ভস্থ জলাধারে পানি দেয় না বরঞ্চ সেখান থেকে নদীতে পানি আসে। দেশের অনেক জায়গায় এ অবস্থা হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ত্রিশ বছরে দেশের কি অবস্থা হবে? নদীর স্বাভাবিক অবাধ প্রবাহ প্রকৃতির দাবি। পরিবেশ ও প্রকৃতি বিপন্ন করে কোন পরিকল্পনা গ্রহণ হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রিয় ব্লগারকে ধন্যবাদ । ছবিও সেখান থেকে কিঞ্চি মডিফাই করা।