somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি সচিত্র ফুটবল কাহিনী

০৬ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেশনাল,ক্লাস টেস্ট,অ্যাসাইনমেন্টের খপ্পরে প্রাণটা একেবারে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছিল।নানান ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে যখন আমরা ফিকির করছিলাম তখনই একদিন ঘোষণা এল,মেকানিক্যাল ডে উপলক্ষে ইন্টার ব্যাচ ডিপার্টমেন্টাল ফুটবলের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের মত পাঁড় ফুটবলভক্ত ও ফুটবলারদের জন্য এ যে ছিল মেঘ না চাইতেই জল ।তারপর কয়েকদিন মাঠে গিয়ে হাড়ভাংগা প্র্যাকটিস এবং ম্যাদামারা শরীরগুলোকে সচল করার দুরুহ অপপ্রয়াস।অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুরু হল টুর্নামেন্ট।প্রথম ম্যাচই ০৫ ব্যাচের সাথে।একেবারে যাকে বলে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হওয়ার পর আমরা (০৬ ব্যাচ) ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে উঠে গেলাম।

অবশেষে এল ধীরে ধীরে ফাইনালের মাহেন্দ্রক্ষণ এগিয়ে এল।খেলা শুরুর আগ থেকেই উত্তেজনায় আমাদের বুক ঢিপঢিপ করছিল।শিরোপা জিততে পারবতো?প্রতিপক্ষ (০৭ ব্যাচ)কে হেলাফেলা করার কোনো সুযোগ ছিলনা।কিন্তু কাগজে কলমে আমরাই ছিলাম এগিয়ে।যাই হোক,রেফারির হুইসেলে খেলা শুরু হল।



ওরা ১৫ জন :)



আমরা দ্রুত যে যার পজিশন নিয়ে ফেললাম।প্রথম দিকে অবশ্য খানিকটা এলোমেলো খেলাই হচ্ছিল।সময় গড়ানোর সাথে ধীরে ধীরে দুই দলই আক্রমন পালটা আক্রমণ চালাতে থাকে ।তবে আমাদের উইঙ্গার সৌরভ আর প্লেমেকার শাহীনের দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় ওরা জেরবার হয়ে পড়ছিল ।এরই ফাঁকে আমিও বারকয়েক রাইট ব্যাক থেকে ওভারল্যাপ করে এগিয়ে যাই।কিন্তু মুহুর্মুহু আক্রমণ সত্ত্বেও প্রথমার্ধ গোলশুন্যভাবে শেষ হয়।



বিরতিতে আমাদের দুর্ধর্ষ টিম মিটিং :P



আমাদের আদি ও অকৃত্রিম সাপোর্টারেরা
B-)


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ওদের আমরা একেবারে জেঁকে ধরি।এমন সময় সৌরভ হঠাৎ বল নিয়ে দু জনকে কাটিয়ে ঢুকে পড়ে ডিবক্সে।কিন্তু তৃতীয়জনকে কাটানোর সময় হঠাৎই সে পপাৎধরণীতল।





তারপর রেফারিকে ঘিরে আমাদের আবেদন




এবং পেনাল্টি স্পটের দিকে রেফারিরি অঙ্গুলিহেলন ,অতঃপর গোওওওওওওওওওওওওওল :):)




এরপর বাকি ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার মাঝে কোনোমতে পার করে দেওয়া।অবশেষে সেই কাংখিত জয় :D:D




ইতো-অঁরির স্টাইলে আমাদের বিজয়োল্লাস B-)




পাদটিকাঃ দুর্দান্ত স্ন্যাপশটের জন্য বন্ধু নিলয় ও আশিককে ধন্যবাদ।




সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৩২
১৮টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×