বর্তমানে কিছু লোক হাদিস পরিত্যাগ করেছে। কোরআন ছাড়া তারা আর কিছু মানে না। যদিও কোরআনের বহু জায়গায় রসুলের আদেশ মানার নির্দেশ আছে। এদের অনেকে আমাদের নবীজির (সা) নাম শোনার পর এবং নামাজে দরুদ পড়ে না। আজানেও রসুলের (সা) নাম উল্লেখ করাকে এরা শিরক বলে থাকে। কোরআনে দরুদ পড়ার কথা বলা থাকলেও এদের অনেকেই কোরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করে এবং দরুদ পড়াকে শিরক বলে।
হাদিস পরিত্যাগকারীরা হাদিস না মানলে নীচের সমস্যাগুলিতে পড়বে;
১। ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ কোরআনে দুই ঈদের কোন উল্লেখ নেই।
২। কোরআনে ঈদের নামাজের উল্লেখ নেই। তাই এরা ঈদের নামাজ থেকে বঞ্চিত হবে। তাছাড়া ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব বা ফরজ।
৩। পশু কুরবানির কথা কোরআনে থাকলেও কোরবানি যে ঈদের দিন করতে হবে এই কথা বলা নাই। এক গরু ৭ জনে ভাগ করে কুরবানি দেয়া যাবে সেই কথাও বলা নাই। ছাগলের যে ভাগ হয় না সেটাও কোরআনে পাওয়া যায় না।
৪। ঈদের ফিতরার ব্যাপারে কোরআনে কিছু পাওয়া যায় না। তাই এরা ফিতরা দেয় না। কিন্তু ফিতরা দেয়া ফরজ বা ওয়াজিব।
হাদিস অস্বীকার করলে আরও কিছু প্রশ্ন মাথায় আসে যেগুলির উত্তর কোরআনে পাওয়া যায় না;
১। জুম্মার নামাজের কথা কোরআনে থাকলেও। কোরআনে এই নামাজের সময় বলা নাই। জুম্মার নামাজ যে জোহরের নামাজের বিকল্প এবং মাত্র দুই রাকাত এই কথা কোরআনে পাওয়া যায় না। হাদিসের সাহায্য ছাড়া জুম্মার নামাজ পড়া সম্ভব না।
২। কোরআনে কোন খাদ্য হালাল আর কোন খাদ্য হারাম বলা আছে। কিন্তু কুকুরের মাংসকে হারাম করা হয়নি। শকুনের মাংসের উপরও কোন নিষেধাজ্ঞা কোরআনে পাওয়া যায় না। কুকুর, অন্য হিংস্র পশু বা শকুন জাতীয় পাখির মাংস হারাম করা হয়েছে হাদিসের মাধ্যমে।
৩। কোরআনে মৃত প্রাণীর মাংস হারাম করা হয়েছে। এই কারণে মনে হতে পারে যে মৃত মাছ খাওয়া হারাম। কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে মাছকে হালাল করা হয়েছে।
৪। পুরুষদের সমকামিতাকে কোরআনে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু নারীদের সমকামিতার ব্যাপারে কোরআনে কিছু পাওয়া যায় না। হাদিসের মাধ্যমে পুরুষ বা নারীর সমকামিতার উপর নিষেধাজ্ঞা এবং শাস্তি সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।
আল্লাহ আমাদের কোরআন এবং সুন্নাহর আলোকে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।
সুত্রঃ
কোরআন এবং হাদিস
https://www.quran-islam.org/home_(P1).html
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৯