কোরআনের দ্বিতীয় সূরার (সূরা বাকারা) ৩ নং আয়াতে আছে;
‘যারা অদৃশ্য বিষয়গুলিতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে উপজীবিকা প্রদান করেছি তা হতে দান করে থাকে ।‘
অর্থাৎ না দেখা জিনিসে/ বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করা ইসলাম ধর্মে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখন দেখা যাক এই ধরণের না দেখা জিনিস কি কি আছে যেগুলিকে বিজ্ঞান স্বীকার করে না।
১। সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ
২। বেহেশত
৩। দোজখ
৪। ফেরেশতা
৫। জিন
৬। পরকাল
৭। কবরের জীবন
৮। আত্মা বা রুহ
৯। শয়তান
১০। মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান
আসলে এই জিনিসগুলি আমরা যদি দেখতে পেতাম বা প্রমাণ করতে পারতাম তাহলে এগুলির উপর ঈমান আনতে বলা হত না। দেখা যায় না বলেই বা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করা যায় না বলেই এই বিষয়গুলির উপর ঈমান আনতে বলা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে যদি এখন মানুষের রুহ আবিষ্কার হত তাহলে বিশ্বের বহু নাস্তিক মুসলমান হয়ে যেত।
উপরে উল্লেখ করা প্রত্যেকটা বিষয়ের ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান নিরব। এগুলি ছাড়াও আরও কিছু বিষয় কোরআনে বা হাদিসে আছে যেগুলি স্পষ্টভাবে বিজ্ঞানের সাথে যায় না। যেমন ( অধিকাংশ বিষয় কোরআনে আছে);
১। মেরাজ - রসূলের (সা) ঊর্ধ্বাকাশ ভ্রমণ। বেহেশত, দোজখ পরিদর্শন। হাজার বছর আগের মৃত নবী ও রসূলদের সাথে নবীজির (সা) একত্রে নামাজ পড়া।
২। হজরত ইব্রাহীম (আঃ) কে আগুনে নিক্ষেপ কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর কিছু না হওয়া।
৩। হজরত মুসার (আঃ) আল্লাহর সাথে কথা বলার ঘটনা
৪। হজরত মুসার (আঃ) হাতের লাঠি সাপে পরিনত হওয়া
৫। নবীজির (সা) হাতের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়া
৬। হজরত ঈসা (আঃ) কর্তৃক মৃত মানুষকে জীবন দান, জন্মান্ধকে দৃষ্টি দান, কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করে দেয়া।
৭। আল্লাহর ইচ্ছায় হজরত সোলায়মান (আঃ) কর্তৃক জীনদের নিয়ন্ত্রণে আনা, সকল পশু-পাখির ভাষা বোঝা। বাতাস হজরত সোলায়মান আলাইহিস সালামকে তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো স্থানে নিয়ে যেত।
৮। পিতা মাতা ছাড়া হজরত আদমের (আঃ) সৃষ্টি।
৯। পিতা ছাড়া হজরত ঈসার (আঃ) জন্ম।
১০। হজরত মুসার জন্য (আঃ) সমুদ্র/ দরিয়া দুই ভাগ হয়ে যাওয়া
১১। নবীজির (সা) জন্য শুষ্ক কাঠের ক্রন্দন। সামান্য এক পাত্র খাবার দিয়ে বহু লোককে আপ্যায়ন। দুর্বল বকরির স্তন নিমেষেই দুধে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া। অল্প পানিতে বরকত হওয়ার কারণে বহু লোক সেই পানি ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া।
১২। হজরত সালেহর (আঃ) সময়ে পাথর ভেদ করে উট বের হয়ে আসা।
১৩। হজরত দাউদ (আঃ) চাইলেই হাতের সাহায্যে লোহাকে গলিয়ে ফেলতে পারতেন।
১৪। আল্লাহতায়ালা 'কুন (হও)' বললেই সব কিছু হয়ে যায়।
এই ধরনের আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলির কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আমাদের হাতে নেই। সেই ক্ষেত্রে আমরা কি ইসলামের এই বিষয়গুলির উপর বিশ্বাস রাখব কি রাখব না এটা অনেকের কাছে একটা বড় প্রশ্ন।
ছবি - ইসলামিক ভয়েস
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১২