somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাঙ্গুয়ার টানে,সৌন্দর্যের খোঁজে।। প্রথম পর্ব

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(1st part)...


ঘুরে বেরানোর রোগ টা আমাদের
বংশীয়।। আমার বাবা ঘুরেছে
ভাইয়া ঘুরেছে। বংশের মান রক্ষা
করতে হলেও তো ঘোরা দরকার।।
কিন্তু না।।আমি ঘুরি আমার নিজের
নেশায়।।নিজের সপ্ন পুরনের আশায়।।
সেই সপ্ন পুরনের প্রথম প্রথম পদক্ষেপই
হল টাঙ্গুয়া।।

প্রি টেস্ট পরিক্ষা শেষের দিকে।।
কোথাও যাওয়া দরকার।।ভাবলাম
সিলেট যাব।। রাতারগুল ও
বিছানাকান্দি ঘুরব।।কিন্তু
দূর্ভাগ্য,সঙ্গি পেলাম না।।বন্ধু
মহলের মানুষ প্রথমে রাজি হলেও
পরে আর কাওকে পাওয়া গেল না।।
ভ্রমণ যখন অনিশ্চিত তখন Facebook এ
দেখা পেলাম vromon bangadesh
গ্রুপের।। তারা যাবে সুনামগঞ্জ।।
ভাবলাম নাই মামার চেয়ে কানা
মামা ভাল।।সিলেট না হলেও
সুনামগঞ্জ, পাশাপাশি তো।।১০০০
টাকা দিয়ে কনফার্ম করলাম যে
যাব।।টাকা পাঠালাম তাহসিন
শাহেদ নামক এক ভাইয়ের কাসে।।
এর পর শুধু অপেক্ষা বের হওয়ার।।
অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সময় এলো।।4th
September,2014..পরিক্ষা শেষ হল এবং
সেই রাতেই রওনা দিতে হবে।।
কিছুটা ভয় লাগছে,কারন বাসায় না
বলে যাচ্ছি,এই প্রথম ।।

কলেজ থেকে জলদি বাসায় যেয়ে
ব্যাগ গুছিয়ে ফেল্লাম।।আর মাত্র
অল্প কিকিছু সসময়ের অপেক্ষা।।
উত্তেজনা ও ভয়ের মধ্য দিয়ে সেই
সময়টুকুও কেটে গেল।।
এরপর ঠিক ৮টায় বাসা থেকে বের
হলাম।।বাস স্ট্যান্ডে পৌছালাম
৯,৩০ এর দিকে।।পৌছানোর আগেই
বাসা থেকে কল আসছে অনেকবার
।। কনোমতে জানিয়ে দিয়েছি
যে টাঙ্গুয়াতে যাচ্ছি বন্ধুদের
সাথে।।ঝামেলা টা বাধলো
এখানে।।আব্বু বন্ধুর সাথে কথা
বলতে চাই।।কি করব!!! কোনো বন্ধু
তো নেই সাথে।।একদম না পেরে
তাহসিন ভাইকেই বন্ধু সাজিয়ে
আব্বুর সাথে কথা বলালাম।।thanks
tahsin vai.. :)
বাসে তাহসিন ভাই আমাকে বসতে
দিল একজন বয়স্ক লোকের সাথে।।
প্রথমেই মন টা খারাপ হয়ে গেল যে
সারা রাস্তা হয়তো চুপ করেই
থাকতে হবে।।বয়স্ক মানুষের সাথে
আমি আর কিই বা কথা বলব!!!!
কিন্তু না।।ধিরে ধিরে বুঝতে
পারলাম মনের দিক থেকে তিনি
আমার থেকেও হয়ত যুবক।।তার নাম
মাসুদ চৌধুরী।। যে এখন আমার প্রিয়
মানুষগুলোর একজন।। মাসুদ আঙ্কলের
সাথে গল্প করতে করতে সময় ও
রাস্তা দুটোই পার হচ্ছিল অনেক
আনন্দের সাথে।।তার কাছ থেকে
তার ভ্রমণকাহিনী শুনতে শুনতে তখন
প্রায় মধ্যরাত।।

এরপর শুরু হল গানের আসর।।গানের
কথা বলতে হলে যাদের নাম বলতেই
হবে তারা হলেন, মেহেদী
ভাই,তাহসিন ভাই,রাসেল ভাই
এবং উর্মি আপু।।অসাধারণ গানের
গলা।।অনেক সময় ধরে গান চললো।।
এরপর দলনেতা তাহসিন ভাই এর
আদেশে সবাই ঘুমাতে গেল।।
কিন্তু আমার তো ঘুম আসে না।।
জানালা দিয়ে বাইরে দিয়ে
তাকিয়ে দেখতে থাকলাম
সৌন্দর্য।। ভোরের আলো ফোটার
কিছুক্ষন আগেই বাস পৌছাল
সিলেট শহরে।।এরপর দেখতে
থাকলাম সিলেট শহরটাকে।।অনেক
সুন্দর।।লক্ষনীয় ব্যাপার শহর জুড়ে
অনেক মসজিদ।। গলিতে গলিতে
মসজিদ।। ওলী আওলোয়াদের দেশ
বলে কথা।।

আলো ফোটার কিছুক্ষন পর যে
রাস্তায় আসলাম তার দুই ধারে শুধু
পানি আর পানি।।যতদূর চোখ যায় শুধু
পানি।।অপরূপ ভোর।।জানালা টা
খুলে দিলাম।।হুর হুর করে বাতাস
আমার মুখ ছুয়ে যেতে থাকল।।
অনুভূতিটা যে কেমন আমি ভাষায়
প্রকাশ করতে পারবো না।। কিন্তু
আমার ভাগ্যে অনুভূতিটা বেশিক্ষন
স্থায়ী হল না।।আমাদের গ্রুপের
ঘুমের রাণী মিলি আপু বলল ভাইয়া
জানালা টা বন্ধ করে দাও না??
কি আর করা!! বন্ধ করে দিলাম
জানালা।।

এর কিছুক্ষন পরেই পৌছে গেলাম
সুনামগঞ্জ পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে।।
আমাদের প্রাথমিক গন্তব্য।। বাস
থেকে নামলাম।।গুরি গুরি বৃষ্টি
পরছিল।।কিন্তু আবহাওয়া টা অনেক
ভাল লাগছিল।।অন্তত আমার কাছে।।
এরপর একটা হোটেলে খাওয়া
দাওয়া করেই বেরিয়ে পরলাম
প্রিয় টাঙ্গুয়ার
উদ্দেশে।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

to be continued..

বি,দ্রঃ এই অংশের কোন ছবি না থাকায় দুঃখিত।।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×