ঘরে ঘরে চাকরি হয়নি। কোটা সংস্কার হয়নি অধিকাংশ চাকরির। অবাধ অর্থ পাচার ও বেপরোয়া ব্যাংক লুটে দেশজ প্রবৃদ্ধি কর্মহীন। লম্বা সময় ব্যাংকের শিল্প ঋণের সুদ ৬-৯% হলেও এসএমই এবং ক্ষুদ্র ঋণের সুদ কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধনী ও মাফিয়া বান্ধব, এটা তরুণদের আকৃষ্ট করে না, ঋণ দেয় না। ই-কমার্স এর নাম করে লক্ষ লক্ষ যুবকের পুঁজি কেড়ে নিয়ে লোপাট করা হয়েছে।
এর আগে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি করে তরুণদের পথে বসানো হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যগামী শ্রমিক তরুণদের কর্মদক্ষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। দেশীয় শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার্থীরা বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও ডলারের অভাবে যেতে পারছে না, ব্যাংকে তাদের স্টুডেন্ট ফাইল খুলতে দেয়া হচ্ছে না। বাজেটে মাথাপিছু শিক্ষা ভাতা কমেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে তরুনদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি জোগান কমেছে। বাজেটে মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় কমেছে। তিন মেয়াদের ৫ x ৩=১৫ বছরে কৃষিও যান্ত্রিক হয়নি।
তরুণ কৃষকদের শ্রম দাসত্ব থেকে মুক্তির উপায় বের করা হয়নি। নির্মাণ ও পরিবহন খাতের তরুণ শ্রমিকদের জীবন মান দুর্বিষহ। গার্মেন্টস খাতের চাকরিজীবী শ্রমিকদের তারুণ্য চুষে ৪৫ বছরের পরে তাদের স্থায়ীভাবে অক্ষম অকর্মন্য করার বিপরীতে কর্ম সুরক্ষার এবং জব মাইগ্রেশনের উদ্যোগ নেই।
বেসরকারি চাকরিতে পেনশন বাধ্যতামূলক করা হয়নি। ১৫ বছরের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে শুধু দুর্বৃত্তরা ব্যবহার করেছে।
শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের তরুণদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতিক লভ্যাংশ থেকে সুফল পাচ্ছে না। শেখ হাসিনা সরকারের নীতি-পলিসি থেকে শুধু বড়লোক এবং মাফিয়ারা লাভবান হয়েছে। যা কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে তার সিংহভাগ সুফল কুড়িয়ে সরকাপন্থী নেতা ও আমলারা বিদেশে ডলার পাচার এবং বেগমপাড়া করেছে।
কার্টেসি: ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


