আজ দুপুরের ঘটনা। আজিজ সুপার মার্কেটের তিনতলার একটি ফ্যাশন হাউসের নাম : সারাবেলা। তো এই সারাবেলা থেকে ঢাকা ইউনিভার্সিটির কোনো এক ছাত্র একটা টি শার্ট কেনে। কোনো কারণে সমস্যা হওয়ায় টি শার্টটা সে পাল্টে বা ফেরত দিতে বলে। কিন্তু সেলসম্যান নারাজ। বাদানুবাদে না পেরে ক্রেতা ফোন দেয় ঢাকা ভার্সিটিতে। তার সঙ্গীসাথীরা আসে লাঠিসোটা, রডসহ। সবাই মিলে খুব পেটায় সেলসম্যানকে। পিটিয়ে বীরদর্পে চলেও যায়। যেই না তারা চলে গেছে অমনিই টনক নড়ে অন্য টি শার্ট দোকানী এবং মার্কেটের অন্যান্যের। এটা তো হতে পারে না!
প্রতিবাদ করতে তারা বন্ধ করে দেয় পুরো আজিজ মার্কেট। নেমে পড়ে রাস্তায়। সড়ক অবরোধ। পুলিশ প্রহরা ছিলো। যদিও পুলিশ সংখ্যায় সেভাবে বেশি ছিলো না। কথা হচ্ছে, রাস্তা বন্ধ করে কাকে সাজা দেয়া হলো? কে অপরাধ করেছে, তাকে কিছু করতে না পেরে নিরীহ জনতার উপর শোধ তোলা হলো না!
ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা নিজেরা ছোট হোক, তাতে আমাদের আপত্তি থাকলেও কিছু করার তো নেই। কিন্তু তারা ঐতিহ্যবাহী একটা বিদ্যাপীঠের সুনাম বিনষ্ট করবে কেন? উল্টাপাল্টা কাজ করবে আর মানুষজন বলবে, ওটা তো ঢাকা ভার্সিটির পোলাপানদের কাজ!
সাধারণ মানুষ ভাববে, ও ঢাকা ভার্সিটি তাহলে এমন!
বিনা দোষেই কালিমালিপ্ত হচ্ছে ঢাবি। অথচ সে বেচারা তো জড়বস্তু, 'প্রতিবাদী' জীবরাই তাকে বিতর্কের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
হে ঢাকা ইউভার্সিটি ছাত্ররা, আমরা কি আপনাদের কাছে আরেকটু সহনশীল আচরণ আশা করতে পারি না?