ছোট বেলায় আমার খেলার সাথী ছিল আমার দাদা,
আমরা একটা ছোট বাসায় থাকতাম,
বাসার সাথে ছিল একটা বারান্দা।
আমাকে বাসা থেকে খেলতে বের হতে দিত না আমার মা
তাই বাধ্য হয়ে আমি সেই বারান্দায় খেলতাম।
আর খেলত আমার দাদা ।
আমরা সারা দিন অনেক মজা করতাম
আমার সকল খেলার গুরু আমার দাদা
আমার দাদা ছিল আমার বন্ধু
আমার দাদা ছিল আমার একমাত্র গল্প বলার সাথি
সারাদিন হেইচই করতাম
খুনসুটি লেগেই থাকত
আস্তে আস্তে সময় যেতে লাগল
আমার সাথে দাদার দূরত্ব বাড়তে লাগল
আমার দাদা ছিল অসাধারণ মেধাবী
কিন্তু আমি ছিলাম না
যখন আমার দাদা বুয়েটে ভর্তি হল
আস্তে আস্তে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেল
তিন বছর ধরে আমাদের সম্পক কখন ভাল থাকত
কখন খারাপ থাকত
সময় যেতে লাগল
আমরা আবার এক হলাম
আবার আমরা বন্ধু হলাম
আবার আমার খেলার সাথি হল
(এবার গেমে,ফিফা ১৪ )
দাদা তার সব কথা আমার সাথে শেয়ার করত
আমিও করতাম
বড় ভাই নয়
আমরা যমজ ভাইয়ের মত থাকতাম,
আমার দাদা আবার একটু মানসিক হতাশা ভুগছিল
তখন তার সাথে পরিচয় হল আমার প্রিয় বৌদি ভাই এর সাথে
আমার বৌদি দাদাকে নতুন জীবন দিল
এবার আমি তাদের জন্য
ঘটকালি করলাম
তাদের একসাথে বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলাম
আমার দাদা আজ আমার সাথে নেই। সে আছে ১২০০ মাইল দূরে ভাঙ্কুবা শহরে
কিন্তু দূরে গিয়ে আমার কাছে এসে গেছে
আমার বুকের ঠিক হৃদয়ের মাঝখানে
সে ওখানে একা
কিন্তু সে গেছে এক স্বপ্ন বাস্তবয়নে
দাদা আমার গল্পের নায়ক
আমি জানি দাদা কখন হারতে পারে না
আমি জানি আমার দাদা জয়ী হতে এসেছে
কানাডায় থেকে সে আমার জন্য জয় এনে দিবে
দাদা তুমি জিতলে জিতব আমি
যেমন আমি জিতলে জিতবে তুমি
দাদা আমি তোমাকে এক কবিতা লিখেছি
"গ্রীসের পুরানের নায়ক তুমি
যে অজুনের বানের কম্পিত হত ভূমি
তুমি সেই তীর
তুমি আমার তলয়োরের ধার
আর আমি তোমার ঢাল
আমি জিতলে জিত তুমি
আর তুমি জিতলে আমি