১৭ জুন, ১৯৯৫
বড়পাকে নিয়ে কমার্স ফ্যাকাল্টিতে গেলাম ওর পরিক্ষার রেজাল্ট দেখতে। রোল নাম্বার অনুসারে ওর রেজাল্ট যে কাগজে থাকার কথা সে জায়গাটা ফাকা, মানে কাগজ টানানো হয়েছিল, কিন্তু এখন নেই। বড়পা বলল, অনেক সময় শিট খুলে নিচে পরে। আমরা দেখলাম নোটিশ বোর্ডের নিচে একটা কাগজ পড়ে আছে। অনেক কষ্টে কম্পাস দিয়ে খুচিয়ে বড়পা নেটের বা জালির ভিতর থেকে কাগজটা উদ্ধার করলো। কিন্তু ওতে ওর রোল নেই। মানে ওরটা অন্যকেউ একই ভাবে নিয়ে গিয়েছে। এমন সময় বি সেকশনের ইয়াসমিন আপা আসলেন। উনিও বড়পার রেজাল্ট কিছুক্ষন খুজলেন, পেলেন না। এমন সময় নাহার আপু (বড়পার ক্লাসমেট) আর লিলি আপা (সিনিয়র) আসলেন। নাহার আপু নিজের রেজাল্ট আগেই দেখেছিলেন, বড়পা জানতে চাইলেও বললেন না। নাহার আপু দোতলায় গেলেন কি একটা কাজে, আমি আর বড়পা গেলাম অফিস রুমে রেজাল্ট আনতে। ওখানে একজন বলল, মোখলেসের কাছে খোজ করো। মোখলেস ছিল না তাই ফিরে আসছিলাম। পথে বড়পার ক্লাসের বাবুল ভাই আর রফিক ভাইয়ের সাথে দেখা হলো। বড়পা আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। বাবুল ভাই হেসে ফেললেন। বললেন, ছোট বোন কোথায়? বড় বোন বল। এখানে বলে রাখি আমি বড়পার চেয়ে লম্বায় বেশ বড়। রফিক ভাই বড়পার রেজাল্ট নিয়ে দুরাবস্থার কথা শুনে বললেন, গোলাম রসুলের কাছে চাইলেও হবে। দুজনে অফিস রুমে গিয়ে উকি মেরে ওখান থেকেই চেচিয়ে বললেন, গোলাম রসুলও নেই। ওদের বিদায় দিয়ে আমি আর বড়পা বাসায় রওনা হলাম।
(শেষ)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫