বগালেক ও কেওক্রাডাং: যেতে যেতে একলা পথে--(১ম পর্ব )
পরেরদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলাম। নাশতা সেরে এবার রওনা হওয়ার পালা। শোভনরা হাঁটা শুরু করল ঝিরি পথ ধরে। আমরাও হাঁটা শুরু করার প্রাক-মূহুর্তে অ্রালেক্স বলল যেহেতু বগালেক থেকে কেওক্রাডাং পর্যন্ত হেঁটেই যেতে হবে সেহেতু এই পথটা গাড়িতে করেই যাওয়া যাক্। তাই চান্দের গাড়ি ঠিক করতে গেলাম। সেখানেই পরিচয় হল সিরাজ ভাইদের সাথে। সিরাজ ভাইরাও ৮ জনের একটি দল চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। আর্মি ক্যাম্প ও থানায় রিপোর্ট করে দুই গ্রুপ রওনা দিলাম একসাথে।
পাহাড়ী খাড়া রাস্তা ধরে চান্দের গাড়ির ড্রাইভারের নির্বিকার গাড়ি চালানো দেখে আমরা সবাই বিস্মিত। ইটের রাস্তায় খাড়া উঠে যাওয়া গাড়ী থেকে যখন নিচের দিকে তাকাতাম তখনতো আত্নারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার যোগাড়।
যাওয়ার পথে কয়েকটি আধিবাসী পাড়ার দেখা মিলল। শ্বাসরুদ্ধকর সেই গাড়ি যাত্রাতে পাহাড়ি সবুজ আর তুলার মত মেঘ যেন ফোঁটা অক্সিজেন। আর তাতেই নিঃশ্বাসটা যেন ধারাবাহিকতার রসদ পেল। ১১ খিল নামক একটি জায়গায় যখন নামিয়ে দেয়া হল তখন সবাই গাড়ি থেকে নেমে প্রথমে সাক্ষাত করলাম আমাদের জীবন নিয়ে খেলা (!!!) ‘পাইলট’ ভাইএর সাথে, এরপর শুরু পথচলা। পাহাড়ি পথে কিছুক্ষণ হাঁটার পর পেয়ে গেলাম ঝিরিপথ।
বড় বড় পাথরের মধ্যে দিয়ে এবং স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে লাগলাম। ঝর্নার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কায়দায় ছবিও তোলা হল।
হল। ঝিরিপথে ঘন্টা দেড় হাঁটার পর এই পথ ছেড়ে এক পাহাড়ের গা বেয়ে উঠতে লাগলাম। পথমধ্যে এক আধিবাসী পাড়ার উঠোনে বসে পরলাম।
আরও একটি উঁচু পাহাড় পেরিয়ে যখন স্বচ্ছ জলের দেখা পেলাম তখনি বুঝলাম গন্তব্য সমাগত। পাহাড়ের ঢাল কেঁটে বানানো পথ পেরিয়ে পৌছে গেলাম বগালেকের মূল সীমানায়।
ভূ-পৃষ্ট থেকে হাজার ফিট উপরে কয়েকটি পাহাড়ের মাঝখানটায় সূষ্ট এই বগালেক। অতীতের কোনো এক সময় আগ্নেয়গিরির লাভা উদগিরণের পর পরিত্যাক্ত জ্বালামুখে এই লেকের উৎপত্তি বলা হলেও স্থানীয় আধিবাসীদের বিশ্বাস অন্যধরণের। তাদের মতে এটি এক সময় ড্রাগনদের রাজ্য ছিল। বড় বড় পাথর ভর্তি আর স্থান ভেদে কয়েক’শ ফুট গভীর এই উপত্যকা’র সাথে লাগোয়া সমতল ভুমিতে গড়ে উঠেছে পর্যটন বসতি। ৫-৬টি দোকান, একটি স্কুল, কয়েকটি বেঁড়ার গেস্টহাউস নিয়ে গড়ে উঠা এই জনপদের মুল মালিক এবং পরিচালনাকারী আধিবাসীরাই।
অদূরেই পাহাড়ের উপর আর্মি ক্যাম্প। সেখানে গিয়ে রিপোর্ট করলাম সবাই। নাম, ঠিকানা, স্বাক্ষর শেষে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত আমরা উঠলাম এক গেস্ট হাউসে। বগালেকের নীলাভ পানিতে গোসল সেরে গোগ্রাসে গিললাম। দুই ঘন্টার পাহাড়ী পদভ্রমনে ক্লান্ত সবাই তলিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে। সন্ধ্যায় যখন সেই রাজ্য থেকে ফেরা হল তখন গেস্ট হাউসের বাইরে বেরিয়ে আবিষ্কা্র করলাম আর এক রাজ্যের। আবছা কুয়াশা, চাঁদের আলো আর নীল জলে উপত্যকাটি অদ্ভুত মায়াবী লাগছিল। ঈদের সময় হওয়াতে পর্যটকের আগমনও ছিল বেশি। আর তাই রুপালী আলো আর কুয়াশায় সেই সমতল জায়গাটাতে ছায়ামানুষের অভাব হলনা। এক কোণায় সবাই মিলে আগুন জ্বালালাম। সেই আগুনের চারপাশে বসে আড্ডা হল, গান হল আর চলল খাওয়া।গভীর রাতে একসময় সবার মনে হলে আমদের ঘুমাতে যাওয়া উচিত, কারণ কালকে খুবভোরেই পথচলা শুরু হবে, রোড টু কেওক্রাডাং। অল্পকিছুক্ষনের মধ্যে তাই সবাই স্বপ্নরাজ্যের অধিপতি…………
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন