অবশেষে চীন তার আকাঙ্খিত নতুন সিল্ক সড়কে যাত্রা শুরু করেছে ১৮ নভেম্বর থেকে। ৬২০০কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেন পথ চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ই ঊ (yiwu) থেকে স্পেনের মাদ্রিদ শহর পর্যন্ত যাবে। আপাতত মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যাবহার হবে এটি। ই ঊ হাংচৌ এর আগের স্টেশন এবং চীনের ছোটখাটো পন্যের সবচে বড় পাইকারী বাজার হিসাবে পরিচিত। এই রেলপথ ত্রান্স সাইবেরিয়ান রেল্কে ছাড়িয়ে গেল দুরত্তের দিক দিয়ে। নতুন রেলপথ চীনের গোবি মরুভুমি পেরিয়ে সোজা কাজাকস্থান পেরিয়ে মস্কো হয়ে ইউরোপীয় দেশসমুহ পার হয়ে একেবারে মাদ্রিদ পর্যন্ত।
ট্রান্স এশিয়ান রেলপথের সুচনা পর্ব চীনই শুরু করেছিলো। পেছনে একজন আর্কিটেক্ট ছিলেন , তার নাম শাহ্ এস এম কিবরিয়া , তখন এসকাপের প্রধান হিসাবে ব্যাঙ্ককে বসতেন । এই প্রস্তাবিত রেলপথ চীন, বার্মা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, তুর্কি এবং আরও কয়টি ইউরোপীয় দেশ হয়ে প্যারিসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ এই রেলপথ স্থাপন নিয়ে যা করেছে তা নজিরবিহীন। তবে আফগানিস্তানের জঙ্গি উত্থান , বন্ধু পাকিস্তানে অস্থির রাজনীতি এবং বাংলাদেশে এই রেলপথের বিরুদ্ধে রাজনিতিকদের অবস্থান চীনকে নতুন পথ খুজে নিতে বাধ্য করে। শিনচিয়াং এর উপর দিয়ে রেলপথ আগেই ছিল । কাজাকদের নিজেদের লাইন আর রাশিয়ার তোঁ ছিলই। খুব বেশী কষ্ট আর খরচ না করেই এই স্লথ গতির রেলপথ চালু হল। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ৮ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছেন এই রেলপথকে আরও উন্নত ও দ্রুতগতির করতে।চীন শুধু বেচেনা ,কেনেও। তার ক্যাপিটাল মেশিনারি সব ইউরোপের। ই ঊ তে লাখো বিদেশী মালপত্র কেনে। তারা এখন কম খরচে ও কম সময়ে ল্যান্ডলক দেশগুলোতে সহজেই মাল পৌছাতে পারবে।বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে সমুদ্রপথে সাথে ভারত , পাকিস্তান,কেনিয়া এবং সুয়েজ খাল হয়ে একদম প্যারিসে। এটি দ্রুততম ও গতির জাহাজি বন্দোবস্ত। আমরা পানিতেই রইলাম , ডাঙ্গায় আর উঠতে পারলাম না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০