
জিলাপির সর্বাধিক পুরনো লিখিত বর্ণনা পাওয়া যায় মুহম্মদ বিন হাসান আল-বোগদাদীর লিখিত ১৩শ শতাব্দীর রান্নার বইতে, যদিও মিসরের ইহুদিরা এর আগেই খাবারটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিল। ইরানে এই মিষ্টান্ন জেলেবিয়া নামে পরিচিত, যা সাধারণত রমযান মাসে গরীব-মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানরা জিলাপি নিয়ে আসে। বাংলাদেশে রমযান মাসে ইফতারিতে এটি একটি জনপ্রিয় খাবার। মধ্যযুগে পারসি ভাষাভাষি তুর্কিরা খাবারটিকে ভারতবর্ষে নিয়ে আসে। ১৫শ’ শতকের ভারতে জিলাপিকে ”কুন্ডলিকা” বলা হত।. ১৬০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে সংস্কৃত ভাষায় রচিত গ্রন্থ গুন্যগুনবধিনী তে জিলাপি প্রস্তুত করার জন্য যে উপাদানের তালিকা পাওয়া তার সাথে আধুনিক জিলাপি রন্ধন প্রক্রিয়ার সাথে যথেষ্ট মিল রয়েছে।
এখনকার সময়ে জিলাপি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর । আমি মুচমুচে জিলাপির ভক্ত । পানতোয়া যা জিলাপির রসালো সংস্করণ তাও খুব প্রিয় । সামাল দেই নিজেকে , সান্ত্বনা দেই যে বাবা অনেক খাইছ জীবনে । এখন খাও মাসে দুদিন , তয় ইনসুলিনটা অ্যাডজাস্ট কইরা নিও । মিষ্টির দোকানে গেলে শো কেসের মইধ্যে তাকাইলে বুকটা হাহাকার কইরা ওঠে বান্ধবীর জন্য না , পোলা মাইয়ার জন্য না , কাচ্চির জন্যও না ---- জিলাপির জন্য , মিষ্টির জন্য । এক দোস্ত কইছিল আল্লাহ তোর মিষ্টির কোটা শেষ কইরা দিছে এখন খালি দোয়া দরুদ পইড়া শো কেসের দিকে তাকাইয়া বড় নিঃশ্বাস ছাইড়া বাড়ির দিকে হাটা দিবি ।
ইতিহাসের অংশ রামকৃষ্ণ মহাপাত্রের পেজ থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



