মুনিয়া মেয়েটা ভালো একটা ফ্যামিলির মেয়েই ছিলো। আমরা ছিলাম কুমিল্লা শহরের উজীর দীঘির পূর্ব পাড় আর ওরা ছিলো উজীর দীঘির দক্ষিন পাড়। ওর বাবা আর আমার আব্বু বন্ধু ছিলেন। দুজনেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমরা ওর বাবাকে শফিক মামা বলে ডাকতাম। মেয়েটার মা সোনালী ব্যাংকে জব করতো। দরকার লাগলে মাঝেমধ্যে আমাদের বাসাতে আসতো। তবে আমরা মুনিয়াকে দেখিনি। ওর জন্ম অনেক পরে। বড় দুই ভাই বোনকে চিনতাম। ওরা নিজেদের বাড়ীতেই থাকতো। শফিক মামা মারা গেছেন অনেক আগে এবং মামীও মারা গেছেন বেশ কবছর আগে শুনেছি। বাবা মা না থাকলে একটা পরিবার কিভাবে লাইনচ্যুত হয় মুনিয়াই তার প্রমান। বড় ভাইবোন তাদের ছোটো বোনকে আগলে রাখতে পারেনি। তারা বোনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে! তারাও মুনিয়ার মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেনা। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের একটা মেয়ে কখন এমন পথে যায়!
হেফাজতের মামুনুল আর বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলে আনভীরের মধ্যে পার্থক্য আছে কি? টাকা থাকলেই যা খুশি তাই করা যায়। এদের কিসের অভাব ছিলো? ঘরে স্ত্রী আছে সন্তান আছে এরপরও এদের ক্ষুধার জ্বালায় বলি হয় সাধারণ ঘরের মেয়েগুলো। লোভই হোক, অভাবেই হোক আর স্বভাবেই হোক টাকার কাছে মেয়েগুলোও হার মেনে যায়!!
অডিও রেকর্ডটুকু শুনে বমি আসার উপক্রম! একজন শিল্পপতির ছেলের মুখের ভাষা এমন হবে কেনো? বিয়ে করতে পারবেনা কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে নিজের স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে আলাদা বাসা বা ফ্ল্যাটে অথবা রিসোর্ট বা হোটেলে রামলীলা চালিয়ে যায় দিনের পর দিন। এরা পারিবারিক সম্পর্কগুলোর সাথে ভণ্ডামি করে, সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট করে, ধর্ম এবং নৈতিকতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে!
মামুনুলকে যেভাবে বরশি দিয়ে ধরা হয়েছে এখন আনভীরকেও এভাবে ধরা হোক। মুনিয়া হয়ত মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছে কিন্তু যারা মুনিয়া হতে চান তারা সাবধান হোন।
উপরের বয়ান ফেবুতে আমার বন্ধুর পেজ থেকে নেওয়া।
আগে সাব্বিরকে খুন করেছিল রুবাবার জন্য । সেই শাস্তি খাটছে বি এন পির মন্ত্রী বাবর। কেন ওই মামলা এগুলো না জানিনে । প্রায় ৪০ কোটির ডিল । মেয়েটি ধুরন্ধর লোভী মনে হয় । এক লাখ টাকার ফ্লাটে থাকে তা তার বোন জানত নিশ্চয়ই । নৈতিকতার চর্চা বাড়াতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১৯