

২৭ মে ২০২০ করোনার উঠতি সময় । লেখাটি লিখে ফেসবুকে পোস্ট করলাম ছবি সহ । আজ ফেসবুক আমায় জানিয়ে দিল আমার লেখা নিয়ে । এটি সামুতে পোস্ট করিনি । আজ ভাবলাম এমন সংগ্রামী জীবন নিয়ে আমার পাঠকরা জানুক ।
বিহারের মেয়ে জ্যোতি কুমারী এখন একজন বিজয়ী যোদ্ধা যে তার পঙ্গু বাবাকে দিল্লীর গুরগাও থেকে বাইসাইকেলে বসিয়ে বিহারের শিরহুল্লিতে তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসেছে । মোহন পাসওয়ান , জ্যোতির বাবা গুরগাওএ রিকশাচালক ছিলেন । কিছুদিন আগে এক দুর্ঘটনায় তার বা পা উরুর নিচ দিকে ভেঙ্গে যায় । এই লকডাউনের মধ্যে জ্যোতি বাবার পাশে ছুটে গেল বিহার থেকে । ২০০০ রুপি দিয়ে পুরনো বাইসাইকেল জোগাড় হল , বানিয়ে নিল বাপের বসার ব্যাক সিট , পা রাখার ব্যাবস্থা । ১৫ বছর বয়েসি এই সিংহী বালিকা তার বাবাকে নিয়ে রওনা দিল বিহারের উদ্দেশ্যে ১৬ই মেতে লক ডাউনের মধ্যে । ঠিক সাত দিনের দিন তারা গ্রামে পৌছাল । পথের কাহিনী এখনো বিবৃত হয়নি । স্থানীয় পাড়াপড়শিদের আগ্রহে সামাজিক মাধ্যমে এবং মিডিয়া হয়ে ইভাঙ্কা ট্র্যাম্প পড়ে ফেলল দুর্ধর্ষ বালিকার কাহিনী । টুইটারে জানান দিল কি দরকার তোমার বালিকা , আমায় বল । তোমার বাকি দায়িত্ব আমার এখন। পুরো ইন্ডিয়ার এলিট মিডিয়া নড়ে চড়ে বসলো । ক্লাস নাইনে পড়ত জ্যোতি । গুরগাও যাবার আগেও মানুষের বাসায় পরিচারিকা হিসাবে কাজ করেছে, পড়া আর এগোয়নি । এখন তার স্বপ্ন পুরনের পালা । বাবা মোহন ভাবেননি এমনটা হবে । জ্যোতি আসছে ম্যাট্রিকুলেশনে পরীক্ষা দেবে । ১২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যে মেয়ে পঙ্গু বাবাকে নিয়ে প্যাডেল মেরে গ্রামে পৌছাতে পারে সেতো মানুষ নয় দেবী , দেবী । সাইকেল ফেডারেশন জ্যোতির চাকরি দিয়েই রেখেছে প্রশিক্ষক হিসেবে । পঙ্গু বাবার চিকিৎসা হবে । ভাই বোনদের লেখাপড়া হবে , আর ঝিয়ের কাজ করে জীবন চালাতে হবে না । সার্থক জনম ।
ছবি হিন্দুস্তান টাইমস
লেখা শাহ আজিজ
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



