
গতকাল ধানমণ্ডির ইউনিমারট থেকে বেরিয়ে রিকশা নিলাম মোহাম্মদপুরে দাতের ডাক্তারের কাছে যাব বলে । রিকশা চলছে । থানা ভবনের পাশ দিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম রোডে ঢুকেই কিছুদুর গিয়েই আমার রিকশা স্লো করে কানে মোবাইল লাগিয়ে কথা বলতে শুরু করল । বিরক্ত হচ্ছিলাম তাও মেনে নিলাম । ও দাড়িয়ে গিয়ে রিকশা থেকে নেমে মোবাইল পকেটে ঢুকিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেলল , বলল এইমাত্র আমার বাবা মারা গেছে । কাদতে কাদতে আর চোখ মুছতে মুছতে রিকশা চালাতে থাকল । আমরা কিংকর্তব্যবিমুড় বসে টুকটাক জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম । সে বলল ময়মনসিং সুনামগঞ্জ এলাকায় তাদের বাড়ি । আজ সকালেই সে ঢাকায় এসেছে বাবাকে রেখে । আমরা ক্লিনিকে পৌঁছে গেলাম । কন্যা আমায় জিজ্ঞাসা করল ওকে কত দেব । ভাড়া ৫০ টাকা , ওকে পাঁচশ দিয়ে দিই । টাকাটা হাতে নিয়ে সে হাউমাউ করে বলল একটা হাজার টাকা দেন আমারে । আমরা দরজা ঠেলে ক্লিনিকে ঢুকে পড়েছি , সেও পিছু পিছু হাউমাউ করে আসছে । আমার তখন সন্দেহ হল । কন্যা কঠিন স্বরে বলল আমি কিন্তু লোকজন ডাক দেব ক্লিনিক থেকে বের হন । বেরুলো সে । আমরা বসার রুমে বসে ভাবতে শুরু করলাম সে এত কেন ব্যাগ্র ছিল হাজার টাকা পেতে ? সুনামগঞ্জ ময়মনসিংহের পাশে নয় ! আসলেই কি মোবাইল বেজেছিল? কন্যা বলল আমিতো শুনিনি , একটা ভণ্ড রিকশাওয়ালা , ধান্ধা করে পাঁচশ নিয়ে গেল । আমার চেতনা ফিরে এলো কন্যার কথায় - আসলেই আমরা বাটপাড়ের পাল্লায় পড়েছিলাম । যাক টাকাটা কে যাকাত ফেতরার ক্যাটাগরিতে ফেললেই হল ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



