গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে রাজধানী থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ ছুটির দিনে পদ্মা সেতু দেখতে যাচ্ছেন। তাঁদের কেউ যাচ্ছেন ব্যক্তিগতভাবে, কেউবা দলগতভাবে। দর্শনার্থীদের বড় অংশই সেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে ঘুরে আসছে। দর্শনার্থীদের আগ্রহ দেখে ভ্রমণের এ প্যাকেজ চালু করেছে পর্যটন করপোরেশন।পদ্মা সেতুতে ভ্রমণে ২৯ আসনের দুটি ট্যুরিস্ট কোস্টার চলাচল করবে। প্রথম ভ্রমণে ৫০ শতাংশ মূল্যছাড় দিয়ে এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবন থেকে বিকেল চারটায় যাত্রা শুরু করে শ্যামলী, আসাদগেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সামনে দিয়ে মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক ব্যবহার করে ট্যুরিস্ট কোস্টার পদ্মা সেতুতে পৌঁছাবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। সেখান থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চত্বরে দুই ঘণ্টার বিরতি। সেখানে পর্যটকদের জন্য থাকবে হালকা নাশতা বা স্ন্যাক্স। পর্যটকেরা সেখানে দুই ঘণ্টা ঘুরতে পারবেন। তারপর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে ট্যুরিস্ট কোস্টার।সশরীর ও বিকাশে দুইভাবে টাকা পরিশোধের সুযোগ থাকছে। পাঁচ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের খরচ ফ্রি। দুটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) ট্যুরিস্ট কোস্টার প্রতি শুক্র ও শনিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবন থেকে বিকেল ৪টায় আগ্রহী দর্শনার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে পদ্মা সেতু ঘুরিয়ে আবার রাত ১০টায় ফিরে আসবে। দর্শনার্থী বহনকারী কোস্টার পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চত্বর পর্যন্ত যাবে। আপাতত সপ্তাহে দুই দিন এ ভ্রমণের আয়োজন করা হলেও দর্শনার্থীদের চাহিদা বিবেচনায় পরে তা আরও বাড়ানো হতে পারে।
ঘুরে আসুন একবার পদ্মা সেতুতে । ব্রিজ ট্যুর নিয়ে আমার একটি প্রস্তাবনা শুরুর দিনেই ছিল সামু ব্লগে ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪৭